যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বিভি শ্রীনিবাসের বেঙ্গালুরুর বাড়ি গিয়ে তাঁকে নোটিস ধরাল অসম পুলিশ। অসম যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী অঙ্কিতা দত্ত শ্রীনিবাসের বিরুদ্ধে 'যৌন হয়রানি'র অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগের জেরেই কয়েকদিন পর, অসম পুলিশ রবিবার শ্রীনিবাসকে নোটিস দেওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছয়।
নোটিসে শ্রীনিবাসকে গুয়াহাটির এক থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি হাজিরা না-দিলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে অসম পুলিশ। পূর্ব গুয়াহাটির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীনিবাসকে ২ মে সকাল ১১টায় দিসপুর থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। তিনি হাজিরা না-দিলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪১ (এ) ধারায় দেওয়া হয়েছে নোটিসটি।
এর প্রেক্ষিতে রবিবার এক টুইটে শ্রীনিবাস বলেন, 'অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাঁচ দিন আগে আমার বিরুদ্ধে একটি জাল মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাকে কর্ণাটকে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া থেকে বিরত রাখুন। কিন্তু, দেশের অলিম্পিয়ানরা কয়েক মাস ধরে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে এফআইআর কোথায়? কোথায় বিজেপির মন্ত্রীরা ও এজেন্ট সংগঠনগুলো?' জবাব দিতে দেরি করেননি অসমের মুখ্যমন্ত্রীও। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, 'পুলিশ আইন অনুযায়ীই কাজ করেছে।'
বেঙ্গালুরুতে অসমের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার প্রতীক থুবে সাংবাদিকদের বলেছেন যে তাঁদের তদন্ত অনুসারে, ভুক্তভোগী অঙ্কিতা দত্তকে, 'গত ছয় মাস ধরে ক্রমাগত অত্যাচার, নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।' এই প্রসঙ্গে থুবে বলেন, 'আমরা এখানে শ্রীনিবাসের বাড়িতে মামলার তদন্ত করতে এসেছি। যেহেতু এখানে কেউ ছিল না, আমরা নোটিসটি টাঙিয়ে দিয়েছি। আমরা তাঁর জন্মস্থানেও নোটিস পাঠাচ্ছি। এই নোটিসে আমরা তাঁকে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দেওয়া এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছি।'
আরও পড়ুন- গ্রেফতারের পর কড়া নিরাপত্তায় ডিব্রুগড় জেলে অমৃতপাল
অসম পুলিশের ডিজি জিপি সিং শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে, 'একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) নির্দেশে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আমরা তদন্ত চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেব।'