বাংলা, তামিলনাড়ুর পর এবার বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে আসামর জন্য সংকল্প পত্র প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম দফা নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে এই ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সংকল্প পত্রে ১০টি অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল সংশোধিত এনআরসি। যার মাধ্যমে প্রকৃত ভারতীয়দের সুরক্ষা দেওয়া হবে এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের খেদিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।
আসামে ভোটের মুখে এনআরসি-সিএএ গলার কাঁটা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। দলীয় নেতৃত্ব তা মানতে না চাইলেও সংকল্প পত্রের ঘোষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে, এবারের নির্বাচনে এনআরসি-সিএএ বড় ইস্যু। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এটাকে হাতিয়ার করে প্রচারে ঝড় তুলেছে। আসামে এনআরসির ফলে বহু বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ পড়ে। সংখ্যাটা প্রায় ১৫ লক্ষের মতো। বহু মানুষের ঠিকানা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প। নিজভূমে পরবাসী তকমা নিয়ে অনেকেই ব্যথিত। এবার সেই এনআরসি ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করল বিজেপি। একনজরে দেখে নিন কী কী রয়েছে বিজেপির ইস্তেহারে-
১- মিশন ব্রহ্মপুত্র- ফি বছর ব্রহ্মপুত্রর করাল গ্রাসে বানভাসী হয় আসামের অধিকাংশ জেলা। ক্ষমতায় ফিরলে বন্যা রুখতে ব্রহ্মপুত্র নদের সংলগ্ন এলাকায় বিরাট জলাধার নির্মাণ করবে সরকার।
২- অরুণোদয় প্রকল্প- এই প্রকল্পের আওতায় পিছিয়ে পড়া ৩০ লক্ষ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা সাহায্য।
৩- নামঘরে অবৈধ দখলদারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার। পুনর্বাসনের জন্য পরিবার প্রতি ২.৫ লক্ষ টাকার সাহায্য দেওয়া হবে।
৪- মিশন শিশু উন্নয়ন- বাংলায় 'সবুজসাথী' প্রকল্পের ধাঁচে অষ্টম শ্রেণি থেকে ছাত্রীদের সাইকেল দেবে সরকার। উচ্চমানের শিক্ষার গ্যারান্টি বিজেপির।
৫- সংশোধিত এনআরসি প্রক্রিয়া শুরু হবে। যার মাধ্যমে প্রকৃত ভারতীয়দের সুরক্ষা দেওয়া হবে এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের খেদিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।
৬- অঞ্চল পুনর্বিন্যাসের কাজে দ্রুততা আনার কাজ করবে সরকার।
৭- আসাম আহার আত্মনির্ভরতা- রাজ্যকে আত্মনির্ভর করতে বিশেষ প্রকল্প।
৮- শিক্ষিত যুবদের কর্মসংস্থান- দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কর্মসংস্থান তৈরি করবে আসাম। সরকারি ক্ষেত্রে ২ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি, তার মধ্যে ১ লক্ষ চাকরিতে নিয়োগ ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে। বেসরকারি ক্ষেত্রে ৮ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি।
৯- স্কুলগুলির মানোন্নয়ন এবং আর্থিক ভাবে সাহায্য করা।
১০- জমির অধিকারের জন্য নাগরিকদের সবরকম সহায়তা প্রদান।