অসম-মেঘালয় সীমান্ত চুক্তির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুল সাংমা। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, অসম-মেঘালয় সীমান্ত চুক্তি দুই জনবিরোধী সরকারের মধ্যে হয়েছে। মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ মুকুল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'আমরা (তৃণমূল) সরকার গড়তে পারব না, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই।' সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য রাজ্য মেঘালয়ে নির্বাচন। তার আগে ৫৭ বছরের এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। চোখে যেন সোনার কেল্লা (পড়ুন জয়লাভ আর ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া) দেখার আনন্দ এখন থেকেই।
মুকুলের দলত্যাগ
মুকুল সাংমা- মেঘালয়ে তৃণমূল যতটুকু, সবটা এই মুকুল সাংমা কেন্দ্রিক। কংগ্রেসের প্রাক্তনী ২০২১ সালের নভেম্বরে ১১ বিধায়ক সঙ্গীকে নিয়ে হাত ছেড়ে জোড়াফুলে চলে এসেছেন। তাঁর দলত্যাগ পার্বত্য রাজ্যের রাজনীতিকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। রাতারাতি তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। এই নির্বাচনে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)। প্রচারে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও মুকুল সাংমা, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের সম্ভাবনা নিয়ে খোলাখুলি নিজের মতামত জানিয়েছেন। মুখ খুলেছেন কংগ্রেসকে নিয়েও।
কেন কংগ্রেস ছাড়লেন?
মুকুল সাংমা- মুকুল একসময় কংগ্রেসে ছিলেন। সে ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসে থাকার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের স্বার্থে কাজ করা। সমাজের সকল স্তরের, সমস্ত পটভূমিতে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় লোকেদের অন্তর্ভুক্ত করে কাজ করা। কিন্তু, কংগ্রেস সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। মুকুলের অভিযোগ, এই ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডকে তাঁরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, তাঁরা কিছুতেই বুঝতে চাননি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির শক্তি, তাদের এজেন্ডার বিরোধিতা, গণতন্ত্রের চেতনা রক্ষা ও সংরক্ষণ করার জন্যই তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। মুকুলের সোজাসুজি প্রশ্ন, 'আপনি যখন বক্সিং রিংয়ে থাকবেন তখন কিড গ্লাভস ব্যবহার করতে পারবেন? না, ছিটকে যাবেন!'
জনগণ কি আপনাকে তৃণমূলের মুখ বলে মানে?
মুকুল সাংমা- মুকুলের দাবি, প্রচারে তিনি জনসাধারণের থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন। যাতে বুঝতে পেরেছেন, জনগণ তাঁর প্রতি ঠিক কতটা আস্থাশীল।
আরও পড়ুন- কোল থেকে নরওয়ে কেড়েছে সন্তান, কেঁদে ভাসাচ্ছেন রানি
তৃণমূল তো বাংলার পার্টি?
মুকুল সাংমা- তৃণমূল কংগ্রেসকে বহিরাগত বা বাংলার পার্টি বলা অর্থহীন। কারণ, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্রীয় শাখা বলে একটা ব্যাপার রয়েছে। সংগঠনের রাষ্ট্রীয়স্তরের আলাদা নেতা থাকেন। আমাদের পূর্বপুরুষরা রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে প্রার্থী কারা দেখতে হবে। তাঁরা সবাই মেঘালয়ের বাসিন্দা। মেঘালয়ের নিজস্ব লোক। তাই এই রাজ্য আমাদের নিজেদের লোকেদের দ্বারাই পরিচালিত হবে।