আসাম এন আর সি-র চূড়ান্ত তালিকায় যাদের নাম উঠবে না, তাদের গোপনে দার্জিলিংয়ে বসবাসের বন্দোবস্ত করে দেবে মমতা সরকার। এমন দাবি তুললেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পলাতক নেতা বিমল গুরুং। জি জে এমের অফিশিয়াল নেতৃত্ব অবশ্য এ কথা মানছে না। গুরুংয়ের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিনয় তামাং।
আসাম এন আর সি-র তে নাম তোলার জন্য ৩.২৯ কোটি মানুষ আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে বাদ গেছে ৪০ লক্ষ। ৩০ জুলাই এন আর সি-র দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম খশড়ায় ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের নাম উঠেছিল।
শনিবার গোপন স্থান থেকে একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘রাজ্য সরকার গোপনে পাহাড়ে জমির মাপ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে আমার কাছে খবর আছে। আসাম থেকে বিতাড়িত অবৈধ বাংলাদেশিদের যদি এখানে জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।’’
আরও পড়ুন, NRC-তে নাম না থাকলেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ নয়
প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ উত্তরবঙ্গের আদি বাসিন্দাদের অগ্রাহ্য করে আসাম থেকে বিতাড়িত অবৈধ বাংলাদেশিদের এখানে স্থান দেওয়ার কথা স্বপ্নেও কারো ভাবা উচিক নয়। এরকম কোনও চেষ্টা করা হলে পাহাড়ের সমস্ত বাসিন্দারা একযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আসামের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সকলেই চিন্তিত। এখানকার আদি বাসিন্দাদের আমরা ভুগতে দেব না। তেমন কিছু হলে বিমল গুরুং চুপ করে থাকবেন না।’’
এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুলেছেন জিজেএম (বিনয় তামাং গোষ্ঠী)-র সাধারণ সম্পাদক তথা জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা। তিনি বলেছেন, ‘‘বিমল গুরুং এক বছরের বেশি পাহাড় ছাড়া। নাশকতামূলক কাজকর্ম চালানোর পর লেকজনকে ফেলে রেখে উনি পালিয়ে গেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকারই ওঁর নেই। বিজেপি-র চাপে উনি এখন ভিত্তিহীন কথা বার্তা বলছেন।’’
দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন শুরু হওয়ার পর, গত বছর থেকে পালিয়ে আছেন বিমল গুরুং। তাঁর নাম খুন সহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে।