উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)কে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য বিধানসভা। এবার অসমও ইউসিসি কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে। অসমে মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন ১৯৩৫ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রী জয়ন্ত বড়ুয়া সরকারের এই পদক্ষেপকে ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) কার্যকর করার লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে অসম ইউনিফর্ম সিভিল কোড কার্যকর করবে। আজ আমরা মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
মধ্যরাতের পরে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, “২৩ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পুরনো মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই সিদ্ধান্ত রাজ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার পদক্ষেপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত" ।
আরও পড়ুন : <Jaahnavi Kandula Death: তরুণীকে গাড়িতে পিষে অট্টহাসি, ছাড় নয় মার্কিন পুলিশ অফিসারকে, দূতাবাসের কড়া হুঁশিয়ারি>
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ক্যাবিনেট মন্ত্রী জয়ন্ত বড়ুয়া বলেন, "অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫-এর ভিত্তিতে, ৯৪ জন মুসলিম রেজিস্ট্রার এখনও রাজ্যে মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এবং বিবাহবিচ্ছেদ করছিলেন। আজ তা বাতিল করা হয়েছে।" আজকের এই সিদ্ধান্তের পরে এই আইনের মাধ্যমে মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন বা বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন সম্ভব হবে না"।
তিনি আরও বলেছেন, "আমাদের একটি বিশেষ বিবাহ আইন রয়েছে, তাই আমরা চাই যে সমস্ত বিবাহ সেই বিশেষ আইনের অধীনে করা উচিত।" বাতিল করা আইনকে "ঔপনিবেশিক আইন" এবং "আজকের সমাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়" বলে অভিহিত করে তিনি রাজ্য সরকারের বাল্য বিবাহ বন্ধ অভিযানের কথাও উল্লেখ করেছেন বড়ুয়া। যার অধীনে চার হাজারের বেশি মানুষকে রাজ্য জুড়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।