অমিত শাহের বহু চর্চিত সাংগঠনিক ক্ষমতাও কি ফেল?
উত্তর প্রদেশের কৈরানা লোকসভা ভোটে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিরোধীদের জয়। এই আসনটি কার্যত অগ্নিপরীক্ষা ছিল শাসকদলের। শুধু তাই নয়, আজ মোট ১০ টি বিধানসভা ও ৪ টি লোকসভা উপনির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রায় ডাহা ফেল মোদি ম্যাজিক। উপর্যুপরি নিরাশাজনক ফলাফল বেশ চিন্তাতেই ফেলার কথা নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের। বিশেষ করে অমিত শাহ সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ভোটের ফলে তার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না, সে কথা খুব সহজেই স্পষ্ট হয়ে গেল এবারের ফলাফলে।
কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রাষ্ট্রীয় লোকদল প্রার্থী তবসুম হাসানের কাছে বিজেপি প্রার্থীর হার রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এ কেন্দ্রে অজিত সিংয়ের আরএলডি-কে সমর্থন করেছে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস।
Even ( प्रधान सेवक) @narendramodi & his show of strength could not save #Kairana from being taken over by the forces of Love, Peace & Communal Harmony .. @RahulGandhi @yadavakhilesh@yadavtejashwi https://t.co/kVeM0BxfTe
— tabassum hasan (@tabasum_hasan) May 31, 2018
Many voters did vote for BJP but with a lead of some thousand votes alliance has won. I would like to congratulate the candidate. The alliance has emerged strong and now we have to prepare better for future: Mriganka Singh, BJP Kairana candidate pic.twitter.com/yRbPc2g72Y
— ANI UP (@ANINewsUP) May 31, 2018
লোকসভার চারটি কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র পালঘরে জিতেছে বিজেপি। ১০ টি বিধানসভা উপনির্বাচনে গেরুয়াবাহিনীর ভাঁড়ার শূন্য। বাংলার মহেশতলায় বিপুল ভোটে জিতে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটের পর এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এবং আবারও ভোটের ময়দানে ধরাশায়ী হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের অন্য প্রান্তেও উপনির্বাচনের ফল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মহেশতলা-সহ গত সোমবার উপনির্বাচন হয়েছিল পাঞ্জাবের শাহকোট, উত্তরাখণ্ডের থারালি, কেরালার চেঙ্গান্নুর, বিহারের জোকিহাট, ঝাড়খণ্ডের গোমিয়া ও সিল্লি, উত্তরপ্রদেশের নূরপুর, মেঘালয়ের আমপতি ও মহারাষ্ট্রের পালুস কাড়েগাঁওয়ে।
একনজরে পড়ে নিন, কে কোথায় জিতলেন...
মহেশতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুলাল দাস, এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক কস্তুরী দাসের স্বামী। ৬২,৩২৪ ভোটে জিতেছেন দুলালবাবু। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুজিত ঘোষ, তৃতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী প্রভাত চৌধুরী। কস্তুরী দাসের মৃত্যুর পর ওই আসনটি ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল।
মহারাষ্ট্রের পালুস কাড়েগাঁও কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন কংগ্রেসের বিশ্বজিৎ পতঙ্গরাও কদম। কংগ্রেস বিধায়ক পতঙ্গরাও কদমের মৃত্যুর পর ওই আসনটি ফাঁকা হয়ে পড়ে। প্রার্থী দিয়ে পরে তাঁকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল বিজেপি। ফলে কার্যত বিনা লড়াইয়ে এই আসনটি দখল করল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: Maheshtala Assembly Bypoll Results 2018 Updates: জয়ী তৃণমূল
মেঘালয়ের আমপতিতে ৩,১৯১ ভোটে জয়ী হয়েছেন মুকুল সাংমার মেয়ে মিয়ানি ডি শিরা। এই জয়ের হাত ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে একক বৃহত্তম দল হল কংগ্রেস। কেরালার চেঙ্গান্নুরের আসনটি নিজেদের দখলেই রাখল সিপিআই (এম)। ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন সিপিআই (এম) প্রার্থী সাজি চেরিয়ান। গত জানুয়ারি মাসে অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় সিপিএম বিধায়ক কে কে রামচন্দ্রনের, যার জেরে ওই কেন্দ্রটি খালি হয়ে যায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক দলের প্রার্থী। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।
বিহারের জোকিহাটে মাত্র ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেডিইউ-কে হারাল আরজেডি। এই হার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জন্য একটা শিক্ষা বলে কটাক্ষ করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
আরও পড়ুন: Maheshtala Assembly Bypoll: 'গণতন্ত্র রক্ষাই যখন কাজ, তখন ক্লান্তির প্রশ্ন নেই'
কর্নাটকে সদ্য বিধানসভার নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েও শেষমেষ সরকার গড়েছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। এবার আর আর নগরে বিধানসভার উপনির্বাচনেও ম্যাজিক দেখাতে পারল না বিজেপি। ৪১ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারালেন কংগ্রেসের মুনীরত্ন।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের নূরপুরে ৬,২২১ ভোটে জিতল সমাজবাদী পার্টি। পাঞ্জাবের শাহকোটে অকালি দলের প্রার্থীকে ৩৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ের হাসি হাসলেন কংগ্রেস প্রার্থী হরদেব সিং লাদি। ঝাড়খণ্ডের সিল্লি ও গোমিয়া কেন্দ্রে জয়ী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।
শুধুমাত্র উত্তরাখণ্ডের থারালিতে প্রায় ২,০০০ ভোটে জয়ী বিজেপি।
कैराना और नूरपुर की जनता, कार्यकर्ताओं, उम्मीदवारों व सभी एकजुट दलों को जीत की हार्दिक बधाई! कैराना में सत्ताधारियों की हार उनकी अपनी ही प्रयोगशाला में, देश को बाँटने वाली उनकी राजनीति की हार है. ये एकता-अमन में विश्वास करने वाली जनता की जीत व अहंकारी सत्ता के अंत की शुरूआत है.
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) May 31, 2018
বিধানসভা উপনির্বাচনের পাশাপাশি এদিন লোকসভার চার আসনের উপনির্বাচনেও অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে উপনির্বাচনে হারের ধারা বজায় রাখল গেরুয়া বাহিনী। এবার কৈরানা কেন্দ্রেও আরএলডি-র কাছে হারতে হল বিজেপিকে। আরএলডি-কে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি। পালঘরে নিজেদের শরিকের সঙ্গেই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামিল হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে অবশ্য শিব সেনাকে হারিয়ে জয়ের মুখ দেখেছে পদ্ম শিবির। ভান্ডারা-গোন্ডিয়া আসনে জিতেছে এনসিপি। নাগাল্যান্ডে জিতেছেন এনডিপিপি প্রার্থী।