Meghalaya, Nagaland, Tripura poll results 2023: ত্রিপুরা-নাগাল্যাণ্ডে সরকার গড়ার পথে BJP, মেঘালয়েও জোটের সম্ভাবনার পথ এখন খোলা তেমনই বার্তা দিয়েছেন এনপিপি নেতা সাইদুল খান। তিনি বলেছেন, “ভোটের ফলাফল আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সব বিকল্প খোলা রেখেছি”।
উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের নির্বাচনের ছবি স্পষ্ট হতেই বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্যেই একেবারে উৎসবের মেজাজ। এদিকে দলীয় সূত্রে খবর, রাত ৮টায় বিজেপি সদর দফতরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উত্তর-পূর্বের দলের এই সাফল্যের পর তিনি জনসাধারণের উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে।
তিন রাজ্যের নির্বাচনের ছবি স্পষ্ট হতেই দলের তরফে একাধিক নেতার মন্তব্য সামনে এসেছে। নির্বাচনে দলের এই সাফল্য ঘিরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরন রিজিজু বলেছেন, "উত্তর পূর্বে বিজেপির জয়ের এক ও একমাত্র কারণ হল মোদীজি। বিজেপি যে মানুষের জপন্য কাজ করেছেন এবং তা যে তা জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে নির্বাচনের ফলাফল থেকেই তা স্পষ্ট। আমরা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি”। অন্যদিকে ত্রিপুরার জয়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ব্যবধান কমলেও শেষ হাসি হাসতে পেরে খুশি তিনি। দলের শীর্ষ নেতাদের এই জয় উৎসর্গ করেছেন তিনি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সর্বশেষ ছবি-
2023 নির্বাচন লাইভ: উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ের নির্বাচনের ফলাফলের ছবি পরিষ্কার
ত্রিপুরা - বিজেপি ৩৪টি আসন, বাম জোট ১৫টি আসন টিএমপি ১১টি, অন্যরা 0 আসনে এগিয়ে
নাগাল্যান্ড - বিজেপি-এনডিপিপি জোট ৪০টি আসন, এনপিএফ ৩টি আসনে, কংগ্রেস ০, অন্যরা ১৭ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
মেঘালয় - বিজেপি ৫টি আসনে, এনপিপি ২৩টিতে এগিয়ে রয়েছে, কংগ্রেস ৪টি আসনে এগিয়ে, টিএমসি ৫, অন্যান্য ২২টি আসনে এগিয়ে
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে ১৩০০ ভোটে জিতেছেন। ত্রিপুরায়, বিজেপি ইতিমধ্যেই মাজিক ফিগার পার করেছে। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় বিজেপির ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান তাতে ১০টি আসন কম রয়েছে। জয়ের পর মানিক সাহা বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করবে। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদী, অমিত শাহ, জে.পি. নাড্ডা এবং রাজনাথ সিং জিকে ধন্যবাদ জানাই। যতগুলো আসন জেতার কথা ছিল তা কেন হয়নি তা নির্বাচনের পর পর্যালোচনা করব। শপথ গ্রহণের তারিখ ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: < তৃণমূলকে জোর ধাক্কা! বামেদের সঙ্গে নিয়েই সাগরদিঘি দখলের পথে কংগ্রেস >
লোকসভা নির্বাচনের আগে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল BJP-এর কাছে রীতিমত যেন এক অগ্নিপরীক্ষা। সকাল আটটা’য় গণনা শুরু হতেই ধীরে ধীরে ছবিটা পরিষ্কার হতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ব্যাকফুটে গেলেও ফের ত্রিপুরায় মেজাজে ফেরে বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোটকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ম্যাজিক ফিগার পার করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে প্রথমবারের মতো, মেঘালয়ের ৬০ টি আসনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি। নির্বাচনের প্রচারের সময়, বিজেপি ক্রমাগত ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে দেশের "সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত" সরকার তকমা দিয়ে ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছিল। ত্রিপুরা ও নাগাল্যাণ্ডে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। অন্যদিকে মেঘালয়ে বিজেপি এবার এককভাবে নির্বাচনে লড়াই করেছে। বিজেপি তিনটি রাজ্যের মধ্যে দুটিতে ক্ষমতায় ফিরতে পারলে উত্তর-পূর্বে বিজেপির শক্তি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজণৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই তিন রাজ্যের ফলাফল কংগ্রেসের আগামী ভবিষ্যত নির্ধারণের ক্ষেত্রেও অনেকটাই সাহায্য করবে বলে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ত্রিপুরা বিজেপি জয়ের ব্যাপারে একপ্রকার আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ পূজাঅর্চনার আয়োজন করা হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ‘মানিক সাহা’ স্পষ্টতই জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'আপনারা এক্সিট পোল দেখেছেন, তাতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে আমরা (বিজেপি) সরকার গঠন করব; এবার আমরা আরও বেশি আসন পাব এবং আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী’। অবশেষে দলের এই সাফল্যে রীতিমত রাজ্যজুড়ে উৎসবের মেজাজ।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। ত্রিপুরায় ১৬ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোটপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়। তিনটি রাজ্যেই বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০টি। মেঘালয়ে ৭৪.৩ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৮৩ শতাংশ এবং ত্রিপুরায় প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলও আজ ঘোষণা করা হবে।
সাগারদিঘি উপনির্বাচনে গণনা যতই এগোচ্ছে ততই জয়ের জমি পোক্ত হচ্ছে কংগ্রেসের। সপ্তম রাউন্ডের শেষে কংগ্রেস প্রার্থী বয়ারন বিশ্বাস এগিয়ে আট হাজারেরও বেশি ভোটে। পিছিয়ে তৃণমূলে দেবেশিস ভট্টাচার্য। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে সাগরদিঘিতে ২৫ হাজার ভোটে জয়ী বয়ারন বিশ্বাস। জয়ের গন্ধ পেয়েই উচ্ছ্বসিত অধীর চৌধুরী। সাফ বললেন, ‘মমতা অপরাজিত নন, তাঁকেও পরাজিত করা যেতে পারে, প্রমাণ করল সাগরদিঘি। তৃণমূলকে বধিবে যে মুর্শিদাবাদে বাড়িতেছে সে। বাংলায় চোরতন্ত্রে উচ্ছেদ করে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’ তৃণমূলকে হারাতে উপনির্বাচনে কার্যকর হয়েছে জোট। তাই জোট মডেলই জোড়-ফুলকে মসনদ থেকে হঠাতে পারে বলে মনে করেন অধীর চৌধরী।