ভারতের নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বক্তৃতায় আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার ওপর 'পরিষ্কার এবং সম্পূর্ণ' নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল কংগ্রেস। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ আকবরের বিরুদ্ধে তাঁর মন্তব্যের জন্য কংগ্রেস শর্মাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল।
গত সপ্তাহে শর্মা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় ছত্তিশগড়ের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী মহম্মদ আকবরকে লক্ষ্য করে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছিলেন। সেই কারণেই শর্মার বিরুদ্ধে নালিশ করেছে কংগ্রেস। ওই নালিশের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ৩০ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলেছে। ঠিক কী বলেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা? গত ১৮ অক্টোবর, ছত্তিশগড়ের কাওয়ার্ধায় তাঁর বক্তৃতার সময়, শর্মা ছত্তিশগড়ের বিধায়ক আকবরকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'আকবরকে বিদায় না-দিলে মাতা কৌশল্যার ভূমি অপবিত্র হয়ে যাবে। একজন আকবর যদি কোনও জায়গায় আসে, সে ১০০ জন আকবরকে ডাকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে বিদায় দিন। নইলে মাতা কৌশল্যার ভূমি অপবিত্র হয়ে যাবে।'
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নোটিশ দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশন তাঁকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, 'কোনও দল বা প্রার্থী এমন কোনও কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত হবেন না, যা সমাজে বর্তমান বিভাজনকে বাড়িয়ে তোলে। পারস্পরিক বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। অথবা, বিভিন্ন জাতি এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। কিংবা, ধর্মীয় বা ভাষাগত বিভাজনের জন্ম দেয়।'
আরও পড়ুন- মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত! ভারতীয় নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন কর্তাকেই পুরস্কৃত করেছিল কাতার?
শর্মা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকারের বদলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলতে ব্যস্ত। তিনি ছত্তিশগড়ের মহাসমুন্দ শহরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'ভুপেশ বাঘেল সরকার ছত্তিশগড়কে যে পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। ধর্মান্তরিত হচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি অংশে আদিবাসীদের ধর্মান্তরিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সনাতন (ধর্ম)-কে আক্রমণ করা হচ্ছে।'