গত ৩ মে রাজ্যে হিংসা শুরু হওয়ার পর মণিপুরে প্রথম বিধানসভা অধিবেশন বসল মঙ্গলবার। ১১ মিনিট ধরে অধিবেশন চলল। গত চার মাস ধরে পার্বত্য রাজ্যকে হিংসা গ্রাস করেছে। অথচ, এই অধিবেশনে সেই সংঘর্ষের ব্যাপারে কোনও আলোচনাই হল না। অধিবেশনের শেষে নজিরবিহীন পদক্ষেপে, 'আলোচনা ও সাংবিধানিক উপায়ে' শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব বিধানসভায় পাস হয়েছে। এর আগে সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ২১শে আগস্ট একদিনের অধিবেশন মণিপুর বিধানসভায় তাড়াহুড়ো করে ডাকা হয়েছিল। একটি আইনসভার দুটি অধিবেশনের মধ্যে ব্যবধান ছয় মাসের বেশি হতে পারে না এবং এই সময়কাল ২ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তাই এত তাড়াহুড়ো।
প্রত্যাশিত হিসেবেই, ৬০-সদস্যের মণিপুর বিধানসভার ১০ জন কুকি-জোমি বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আগেই বলেছিলেন যে নিরাপত্তার কারণে ইম্ফলে আসতে পারবেন না। তবে, ১০ জন নাগা বিধায়ক-সহ বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মণিপুর কংগ্রেসের প্রধান এবং বিধায়ক কে মেঘচন্দ্র সিং বিধানসভার আধিকারিকদের দ্বারা প্রকাশিত প্রস্তাবটিকে হাউস দ্বারা গৃহীত হয়েছে বলে জানান। মেঘচন্দ্রর অভিযোগ, 'স্পিকার প্রস্তাবটি ঘোষণা করেননি। স্পিকার নিজে এটি পাঠ করেননি। অন্য কেউ প্রস্তাবটি পাঠ করেননি। বিধানসভায় এনিয়ে কোনও আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। তারপরও প্রস্তাবটি পাশ হয়ে গিয়েছে বলে স্পিকার দাবি করেছেন।'
আরও পড়ুন- মাত্র কয়েক মিলিমিটার দূরত্ব, তাতেই চাঁদে তাপমাত্রার আকাশ-পাতাল ফারাক! হতবাক বিজ্ঞানীরা
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেহেতু শান্তি রাষ্ট্রের অগ্রাধিকার। তাই এই হাউস জনগণের মধ্যে সমস্ত মতভেদ নিরসনের চেষ্টা করবে। যতক্ষণ না সমগ্র রাজ্যে সম্পূর্ণ শান্তি ফিরে আসে, এই শান্তি ফেরানোর প্রয়াস চলবে কথাবার্তা এবং সাংবিধানিক উপায়ে।' বিধানসভার সচিব কর্তৃক জারি করা দিনের কার্যপ্রণালীর তালিকায় একটি অতিরিক্ত বিষয় ছিল। তাতে একটি বিষয় ছিল শরণার্থীদের প্রসঙ্গ। বিধানসভায় স্পিকার পাঁচ জন প্রাক্তন বিধায়ক এবং একজন বিধানসভা সচিবের মৃত্যুতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। আর, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন।