Advertisment

বিজেপি-মুক্ত ভারতের দিকে ইঙ্গিত করছে ভোটের ফল: শিবসেনা

‘‘এই ফল স্পষ্ট প্রমাণ করে দিচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত সাহের কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠনের স্বপ্ন বিজেপি আমলেই ধুলোয় মিশে গেছে। এই রাজ্যগুলির মানুষ বিজেপি-মুক্ত ভারতের দিকেই ইঙ্গিত করছেন।’’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

‘‘প্রধানমন্ত্রীর ছেলেমানুষি কথাবার্তাই ওঁর বিরুদ্ধে গেছে‘‘

বিজেপি মুক্ত ভারতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন মানুষ। কোনও বিরোধী দলনেতা নন, এ বক্তব্য কেন্দ্রে ও মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের জোটসঙ্গী শিবসেনার।

Advertisment

শিবসেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘‘যাঁরা আকাশে উড়ছিলেন, তাঁদের এবার মাটিতে নেমে এসেছেন।’’

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করবে সেনার মুখপাত্র সামনায় অভিযোগ করা হয়েছে, দেশ চলছে চার-পাঁচজন ব্যবসায়ীর খেয়ালখুশি মত, এবং সে কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ছে।

মঙ্গলবার বিজেপি-কে কড়া ধাক্কা দিয়ে কংগ্রেস ছত্তিসগড়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করেছে।

আরও পড়ুন, রাজস্থানে কংগ্রেসের টিকিটে জয় ৭ মুসলিম প্রার্থীর

এই নিয়ে পরপর দুবার তেলেঙ্গানায় ব্যাপক জয়ের স্বাদ অর্জন করেছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। অন্যদিকে মিজোরামে বড়সড় জয় পেয়েছে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট। দশ বছর পর রাজ্যে তারা ক্ষমতায় ফিরছে। শুধু তাই নয়, এই জয়ের ফলে গোটা উত্তরপূর্ব ভারত থেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল কংগ্রেস।

শিবসেনা বলেছে, এই ফলের পরে প্রমাণ হয়ে গেল যে, বিজেপিকে ছাড়া কেউ চলতে পারে না বা বিজেপিরই একমাত্র জমিতে পা রয়েছে, এসব কথা আসলে মিথ ছাড়া আর কিছু নয়।

সামনায় বলা হয়েছে, বিজেপি প্রথমে জোটসঙ্গীদের ঘরছাড়া করেছে এবং পরে সবকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে হেরে গেছে, এর থেকে প্রমাণিত হয় যে শুধু বড়বড় কথা বলে ভোটে জেতা যায় না।

মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত এই দৈনিকে লেখা হয়েছে, ‘‘এই ফল স্পষ্ট প্রমাণ করে দিচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত সাহের কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠনের স্বপ্ন বিজেপি আমলেই ধুলোয় মিশে গেছে। এই রাজ্যগুলির মানুষ বিজেপি-মুক্ত ভারতের দিকেই ইঙ্গিত করছেন।’’

রাজস্থানের কৃষক সম্‌স্যার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে মান্দসৌরে কৃষকদের ওপর গুলিচালনার ঘটনার উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, কৃষকরা প্রতিশোধ নিয়েছেন।

২০১৭ সালের জুন মাসে ঋণমকুবের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলিচালনার ঘটনায় পাঁচজন কৃষক নিহত হয়েছিলেন।

সামনায় লেখা হয়েছে, ‘‘মানুষ কর্মহীন হয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। আর তখন প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক রাজনীতি করার জন্য উড়ে বেড়াচ্ছেন। উনি তার রাজ্যে ভোটের প্রচার করার জন্য নেমেছেন। ওঁর ছেলেমানুষি কথাবার্তাই ওঁর বিরুদ্ধে গেছে।’’

উর্জিত প্যাটেল প্রথমে নোটবন্দি সমর্থন করলেও সরকারি কর্মপদ্ধতিতে ক্লান্ত হয়ে পদ ছেড়েছেন বলে মন্তব্য করেছে সামনা।

shiv sena bjp
Advertisment