CM Mamata at Nabanna: জাতীয় সম্পত্তি দেশের সম্পদ, মোদী-বিজেপি এগুলোর মালিক নয়। ন্যাশনাল মনেটাইজেশন পাইপলাইনের সমালোচনায় এভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানেই সম্পদের বিনিময়ে নগদীকরণের কেন্দ্রীয় এই উদ্যোগকে সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘এই উদ্যোগ দুর্ভাগ্যজনক। জাতীয় সম্পদ বিক্রির উদ্দেশেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই সম্পদ বেচে যে টাকা পাবে, তা ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে খরচ করা হবে।‘
তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় সম্পত্তি দেশের সম্পদ। মোদী কিংবা বিজেপি মালিক নয়। তাদের ইচ্ছেমতো এভাবে সম্পদ বিক্রি করা যায় না। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করি। গোটা দেশ জন-বিরোধী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করবে। বিজেপির লজ্জা পাওয়া উচিত। কারও এভাবে জাতীয় সম্পদ বেচে দেওয়ার অধিকার নেই।‘ এদিকে, দলনেত্রীর পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন’-এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাসংদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর অভিযোগ কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্ত সংসদ বা সংদীয় কোনও কমিটিতে আলোচনা হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নীতি আয়োগের দ্বারা গৃহীত যা সাংবিধানিক সংস্থা নয়। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারেও এনিয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনে মানুষের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করা যাবে না। সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, “আর্থিক সংস্কারের নামে বিজেপি সরকার আসলে বেসরকারি কতিপয় পুঁজিপতির হাতে দেশের সম্পত্তি তুলে দিচ্ছে। পিপিপি মডেলের বদলে সরকারি সম্পত্তি চিরতরে লিজ দেওয়া হচ্ছে। যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”
কেন্দ্রের ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনের সমালোচনায় সরব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। অর্থ সংগ্রহের এই নীতিকে “আইনগত ও সংগঠিত লুঠ” বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস। হাত শিবিরের নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, ”কোটি কোটি মানুষের বহু বছরের পরিশ্রমে দেশের যে সম্পত্তি তৈরি হয়েছে তার মূল্য অপরিসীম। যা এই কেন্দ্র বিজেপির কয়েকজন ‘বন্ধু’ শিল্পপতির কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।” রাহুল গান্ধি বলেছেন, '৭০ বছর ধরে দেশ যা তৈরি করেছিল, সেটাই বেচে দিচ্ছে মোদী সরকার।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন