ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ফের আরও একবার কর্ণাটক সফরে মোদী। আগামী ৯ এপ্রিল কর্ণাটক সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন করবেন বেশ কয়েকটি প্রকল্পের। ১০ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম কর্ণাটক সফর।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় এক মাস আগে ৯ এপ্রিল কর্ণাটক সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে রাজ্যে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সূত্র মারফত এমনই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সংস্থা এএনআই।
সূত্রের খবর, কর্ণাটক সফরকালীন সময় বান্দিপুর টাইগার রিজার্ভে সাফারি ট্যুরও করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি "প্রজেক্ট টাইগারের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী মহীশূর এবং চামরাজানগর জেলায় তিন দিনের মেগা ইভেন্টের উদ্বোধন করবেন।" একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কর্ণাটকে ১০ মে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করতে চাইছে পদ্মশিবির। নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আসন্ন সফরে মোদী বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠক করতে পারেন বলেই মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি-সহ সবকটি দল। ১৩ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ কারণ ২০২৪-এই আগামী লোকসভা নির্বাচন। কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল তাতে অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে মনে করছেন রাজণৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৭ বার কর্ণাটক সফর করেছেন।
এর আগে ২৫ মার্চ, প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজ্য সফর করেছিলেন। বিজেপির রাজ্যব্যাপী 'বিজয় সংকল্প যাত্রা'র সমাপ্তি উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্ণাটকের দাভাঙ্গেরে একটি রোডশোতে অংশ নেন পরে একটি জনসভায় ভাষণ দেন তিনি।
পিএম ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্ণাটক সফর করেছেন ৭ বার। ৯ এপ্রিল রাজ্যে তাঁর অষ্টম সফর হবে। একই সময়ে, বিধানসভা নির্বাচনের সূচী ঘোষণার পর এটিই হবে কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম সফর। কর্ণাটক বিধানসভার বর্তমান মেয়াদ ২৫ মে শেষ হবে। বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির সরকার রয়েছে। বিজেপির ১১৯জন, কংগ্রেসের ৭৫ জন এবং জেডিএসের ২৪ জন বিধায়ক রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির।