মাত্র সপ্তাহখানেকের অপেক্ষা। আর তারপরই রাজ্যে ভোট। তার আগে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। আজ কর্ণাটকের মুদবিদ্রিতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন। ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘বজরং বালি কি জয়’ স্লোগান দিয়ে তিনি তাঁর ভাষণ শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি’।
বিজেপি কর্ণাটককে দেশের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত করতে চায় এবং এর পরিকাঠামোকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে চায় যাতে কর্ণাটক একটি দেশকে আগামীর পথ দেখাতে পারে। তিনি বলেন, ‘আজ গোটা বিশ্ব ভারতে গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে সম্মান জানাচ্ছে, কিন্তু কংগ্রেস উল্টো পথে হাঁটছে দেশের মানহানি করছে এমনকী বিদেশের মাটিতে গিয়েও ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কংগ্রেসীরা।
এদিনের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, 'ডবল ইঞ্জিন সরকারের' আমলে কর্ণাটকে বিনিয়োগ বেড়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পর ৩ বছরে বিনিয়োগ বেড়ে ৯০ হাজার কোটি টাকা’। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস কর্ণাটকের শান্তির শত্রু, উন্নয়নের শত্রু। কংগ্রেস সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে তুষ্টির রাজনীতি করে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী তরুণ ও যুবকদের কাছে আবেদন করেন, ‘সুন্দর আগা্মী গড়তে বিজেপিকে ভোট দিন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কর্ণাটকে শান্তি ও উন্নয়ন না থাকলে তাদের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে” । মোদী আরও বলেন, ‘কংগ্রেস কর্ণাটককে তাদের 'রাজপরিবারের এক নম্বর এটিএম' বানাতে চায়’।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘কংগ্রেসের পুরো রাজনীতিই ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা দেশ সেনাবাহিনীকে সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে, অন্যদিকে কংগ্রেস আমাদের সেনাবাহিনীকে অপমান করে। দেশ যখন উন্নতি করছে, কংগ্রেস সারা বিশ্বের সামনে ভারতের মানহানি করছে’।