বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট, তার আগেই রয়েছে চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ধুন্ধুমার লড়াই। ভোটের ময়দানে মোদি বাহিনীকে বোল্ড আউট করতে একজোট হওয়ার তোড়জোড় চলছে বিরোধী শিবিরে। বিরোধীদের ঐক্যের কাছে একাই একশোর মতো আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া অমিত শাহরা। ২০১৯-এ বিরোধী হটাও অভিযানে নামার তোড়জোড়ও চলছে গেরুয়াশিবিরে। তবে সেই অভিযানে পদ্মবাহিনীর নয়া অস্ত্র এই মুহূর্তে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। ক’দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন বাজপেয়ী। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে যেভাবে প্রচারের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি, তা নিয়ে ফিসফাস চলছে বিরোধী শিবিরেও। এবার সেই ফিসফাস কার্যত যেন বোমায় পরিণত হল।
অন্য কেউ নন, এ বোমা ফাটিয়েছেন খোদ অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি তথা কংগ্রেস নেত্রী করুণা শুক্লা। বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই তাঁর কাকাকে নিয়ে বিজেপি এতকিছু করছে বলে সরব হয়েছেন করুণা। এ প্রসঙ্গে ছত্তীসগড়ের জঞ্জগীর-চম্পার প্রাক্তন সাংসদ এক বিবৃতিতে বলেন, "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেভাবে অটলজির নাম ব্যবহার করেছে বিজেপি, তা দেখে আমি হতবাক ও মর্মাহত।"
আরও পড়ুন, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম আজ ভাসবে গঙ্গাসাগরে
ছত্তীসগড়ের বিজেপি সরকারেরও সমালোচনা করে করুণা বলেন, সে রাজ্যের হবু রাজধানী শহর নয়া রায়পুরের নাম বদলে অটল নগর করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সে রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামও বদলে ফেলে বাজপেয়ীর নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।বাজপেয়ীকে নিয়ে বিজেপির এই রাজনৈতিক চাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিজেপি যে নাটক করছে, তা সকলেই জানে। ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্যই এসব করছে ওরা।" প্রথমে বিজেপিতে থাকলেও ২০১৩ সালে ছত্তীসগড়ে বিধানসভা ভোটের মুখে গেরুয়া দল ছাড়েন করুণা। ২০১৪ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।
সম্প্রতি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর তাঁর অস্থি বিসর্জন নিয়ে দেশজুড়ে ‘অস্থি কলস যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। এই কর্মসূচিও অনেকটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মত রাজনৈতিক মহলের।