অধরা স্বপ্নের পিছনে আগেই ছোটা শুরু করেছিলেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। দেশঘুরে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করছিলেন। যা দেখে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলতে শুরু করেছিলেন, কেসিআর এবার জাতীয় দল গড়তে চলেছেন। বিজয়া দশমীর দিন এবার সেই পথে এক পা এগিয়ে গেলেন কেসিআর। তাঁর দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি যা ২০০০ সালে তৈরি হয়েছিল, এবার ২০২২ সালে নাম বদলে হল ভারত রাষ্ট্র সমিতি।
নির্বাচন কমিশনকেও সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন কেসিআর। দলের ২৮০ জন কার্যনির্বাহী সদস্য, বিধায়ক, সাংসদরা এই ইস্যুতে প্রস্তাবও পাশ করেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, শীঘ্রই কেসিআর তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাবেন। আর, জাতীয় রাজনীতিতে তিনি যে বৃহত্তর ভূমিকা নিতে চলেছেন, সেই ব্যাপারেও বলবেন।
শুধু সর্বভারতীয় নতুন দলই নয়। এর মধ্যেই তিনি যে বিরোধী জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা চালাবেন, বুধবারই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চন্দ্রশেখর রাও। হায়দরাবাদে জনতা দল (সেকুলার) দলের নেতা এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। এই হিসেবে বিজেপির অধীনস্ত কর্ণাটক যে তাঁর প্রথম লক্ষ্য সেটাই যেন চন্দ্রশেখর রাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এমনটাই মনে করছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা।
আরও পড়ুন- বিজয়ায় মহিলাদের স্বাধীনতা সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভগবতের
দীর্ঘদিন ধরেই চন্দ্রশেখর রাওয়ের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী কুর্সি। তাঁর হয়ে যখন অন্য কোনও বিরোধী দল মুখ খোলেনি, সেই সময়ও তিনি বারবার বিকল্প প্রধানমন্ত্রীর কথা বলছিলেন। সেই বিকল্প বলতে বিজেপি ও কংগ্রেস বাদে অন্য দলের কারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এরপরই যেমন বলা, তেমন কাজ দেখিয়ে কেসিআর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন।
সম্প্রতি তিনি পাটনায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছিল, বিরোধীদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? নীতীশকে করা সেই প্রশ্ন, কার্যত ছোঁ মেরে নিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন কেসিআর। বলেছিলেন, সেটা ভবিষ্যতে ঠিক হবে। সেই ভবিষ্যৎ বলতে তিনি ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন, সেই ব্যাপারে চন্দ্রশেখর রাও যেন বুধবারই ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বরাবরই ঈশ্বর এবং জ্যোতিষ ভক্ত এই রাজনীতিবিদ রীতিমতো দিন-ক্ষণ দেখে বুধবার দুপুর ১টা ১৯ নাগাদ তাঁর নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানা ভবনে তিনি যখন দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করছেন, সেই সময় বাইরে বাজি ফাটিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় কেসিআরের সমর্থকদের।
Read full story in English