বিজেপি শাসিত রাজ্যের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগেই পৌছে গিয়েছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু ও দোলা সেনরা। এই ঘটনাকে 'নাটক' বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পুরো বিষয়টিই 'সাজানো ঘটনা' বলে তোপ দেগেছেন তিনি।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
গতকাল দুপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন তৃণমূল যুব নেতৃত্ব। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহার। কপাল ও গাল রক্তাক্ত হয় জয়া দত্তর। আক্রান্ত হন দেবাংশু ভট্টাচার্যও। পরে আজ সকালে এই তিন জন সহ মোট ১১জনকে মহামারী আইনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বাংলার শাসক দল।
প্রতিবাদে মুখর খোদ দলের সর্বভারতীয় সাদারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বিপ্লব দেব সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন "পারলে আটকাক রাজ্য প্রশাসন। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব। এক ছটাক জমি বিজেপিকে ছাড়া হবে না।" অভিষেকের দাবি, "গণতন্ত্র বিপন্ন। মানুষ আক্রান্ত। চ্যালেঞ্জ করলে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। আক্রান্তদের জেলে ঢোকানো হয়েছে। বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। ত্রিপুরায় আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে।"
আরও পড়ুন- ‘শাসনের আইন চলছে ত্রিপুরায়’, আগরতলায় পৌঁছেই বিপ্লব সরকারকে নিশানা অভিষেকের
এরপরই সুর চড়ান দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, "এরকম মারামারি করে মনে হয় না তৃণমূল ওখানে সংগঠন করতে পারবে। পুরো নাটক চলছে। সবটাই সাজানো। দিদি নাটক করেন, ভাই-রা আরও বেশি নাটক করেন।" সংগঠন পোক্ত করতে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে তৃণমূল হিংসার রাজনীতি প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। বাংলায় জয়ের হ্যাটট্রিকের পর এবার তৃণমবলের নজর ত্রিপুরা। গত সোমাবারই অভিষেক বলেছিলেন, "২০২৩-এ ত্রিপুরায় তৃণমূলব সরকার গড়বে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।" তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "এর আগে অসমে গিয়ে অনেক নাটক করেছেন ওনারা। একটা পঞ্চায়েতও জিততে পারেনি।"
ইতিমধ্যেই খোয়াই থানায় গিয়ে পুলিশ ও ধৃত তৃণমূল যুব নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থানার বাইরে তাঁকে দেখেই 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। উত্তেজনা ছড়ায় থানা চত্বরে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন