মধ্যপ্রদেশের সরকার বুধবার প্রবেশ শুক্লার (30) বাড়ির একটি অংশ ভেঙে দিয়েছে। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গভীর রাতে এক আদিবাসী ব্যক্তির মুখের ওপর প্রস্রাব করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিন মাস আগে ওই ঘটনাটির ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার মধ্যেই বিরোধী দল কংগ্রেস এই ঘটনাকে হাতে লুফে নেয়। সিদ্ধি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার সঙ্গে প্রবেশের যোগাযোগের অভিযোগ তোলে। পালটা মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রবেশ শুক্লার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এরপরই পুলিশের একাধিক দল সিদ্ধি জেলায় অভিযানে নামে। শুক্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারির পর জেলার ম্যাজিস্ট্রেট সাকেত মালব্য শুক্লার বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ) প্রয়োগের নির্দেশ দেন। অবশ্য ম্যাজিস্ট্রেটের এই নির্দেশের একদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাঁর টুইটে এনএসএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারমধ্যেই জেলাশাসক জানিয়েছেন যে তিনি আবেদনকারী প্রবেশ শুক্লাকে এনএসএর অধীনে আটক রাখতে পেরে সন্তুষ্ট। আর, প্রবেশ শুক্লাকে রেওয়াতের কেন্দ্রীয় জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এনএসএর তরফে জানানো হয়েছে, জেলাশাসকের নির্দেশে শুক্লার বাড়িতে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করলেও বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই বাড়িতে শুক্লার বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকতেন। তাঁরা প্রশাসনকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু, তাঁর পরিবার এবং তাঁদের সম্পত্তিকে নিশানা না-করার অনুরোধ করেন। প্রবেশ শুক্লার বাবা দাবি করেছেন, যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ জাল। আর, তাঁদের ফাঁদে ফেলতে ওই ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, 'আমাদের ছেলে এটা করতে পারে না।' এই ব্যাপারে সিদ্ধি জেলার আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, 'বুলডোজার দিয়ে ৪০০ বর্গফুটে নির্মিত অবৈধভাবে দখল করা জায়গাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে৷' সিদ্ধি জেলার আধিকারিকরা ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলার কথা জানানোর পর
আরও পড়ুন- শান্তি ফিরছে মণিপুরে, স্কুলমুখো শিশুরা
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইট করেছেন, 'এনএসএ জারি করা হয়েছে। বুলডোজার চালানো হয়েছে। প্রয়োজনে মামাজি (শিবরাজ সিং চৌহান) অপরাধীদের মাটির ১০ ফুট নীচে কবর দেবেন। মামাজির বার্তা খুব স্পষ্ট, যাদের খারাপ উদ্দেশ্য আছে, মধ্যপ্রদেশে অপরাধ করার আগে তাদের ১০ বার ভাবতে হবে।'