'নিজেদের লোভ-লালসা মেটাতে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিনহাটা-শান্তিপুরের জয়ী প্রার্থীর, আর মানুষের কাজ করতে গিয়ে করোনায় প্রাণ দিয়েছেন গোসাবা, খড়দহের জয়ী প্রার্থী'। গোসাবায় উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এভাবেই বিজেপি-তৃণমূলের 'ফারাক' বোঝালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন উপনির্বাচনে গোসাবা থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জেতানোর আহ্বান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাতেও উপনির্বাচন। একুশের ভোটে গোসাবা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন জয়ন্ত নষ্কর। তবে কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ভুগে মৃত্যু হয় জয়ন্ত নষ্করের। স্বাভাবিকভাবেই তাই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এদিন গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের হয়ে প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরকে দুষতে গিয়ে এদিন দিনহাটা ও শান্তিপুরের প্রসঙ্গ তুলেছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, ওই দুই কেন্দ্র থেকে জেতার পরেও সাংসদ পদ ছাড়েননি নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। নিশীথ বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। দু'জনেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সুন্দরবনকে ২ লক্ষ কোটির বরাদ্দ দেবেন। সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ভোটের পর আর বাবুদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বহিরাগতদের বাংলা ছাড়া করেছে জনগণ। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিলে পূরণ করে না। ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়েছে।'
আরও পড়ুন- ‘গোয়ায় আনব নতুন ভোর, বিজেপিকে রুখতে একজোট হোন’, সফরের আগে বার্তা মমতার
একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিপুল সাফল্য নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পরেই তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরা, অসম। এমনকী গোয়াতেও সংগঠন সাজানো চেষ্টা জোড়াফুল শিবিরের। তবে গত কয়েকমাসে ত্রিপুরায় দলের কাজে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হতে হয়েছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের। এপ্রসঙ্গে গেরুয়া দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, 'ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলা। মহিলা সাংসদকেও শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে বিজেপিকে হারাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সরকার হবে। যেখানেই গণতন্ত্রকে লুঠ করার চেষ্টা হবে সেখানেই যাবে তৃণমূল।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন