Advertisment

বিতর্কিত অযোধ্যার ৬৭ একর

১৯৯৬ সালের জুন মাসে, রাম জন্মভূমি ন্যাস সরকারকে অতিরিক্ত জমি ফেরৎ দিতে বলেছিল কিন্তু সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হয়। জানানো হয়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ ব্যাপারে রায় দিলে তবেই এ বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
babri masjid

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় করসেবকরা (এক্সপ্রেস আর্কাইভ)

কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে রাম জন্মভূমি সংলগ্ন ৬৭.৩০৩ একর জমি ফেরত দিতে বলেছে। তেন্দ্রের বক্তব্য ১৯৯৩ সালে যেসব আসল মালিকদের কাছ থেকে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তাদের কাছেই জমি ফেরানো হোক। এর মধ্যে রয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাসও।

Advertisment

কেন্দ্র তার আবেদনে জানিয়েছে, ডক্টর এম ইসমাইল ফারুকি ও অন্যান্য বনাম ভারত সরকার মামলার (২৪ অক্টোবর, ১৯৯৪) রায়ে  ১৯৯৩ সালের অ্যাকুইজিশন অফ সার্টেন এরিয়াজ অফ অযোধ্যা অ্যাক্টের সাংবিধানিক স্বীকৃতিকে বজায় রাখা হয়েছিল। ওই আইনবলেই ৬৭.৭০৩ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে এও বলা হয়েছিল, "মুসলিমদের আগ্রহ কেবলমাত্র বিতর্কিত ০.৩১৩ একর জমি নিয়ে, যে অংশটুকুতে বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস করা হয়েছে।"

১৯৯৬ সালের জুন মাসে, রাম জন্মভূমি ন্যাস সরকারকে অতিরিক্ত জমি ফেরৎ দিতে বলেছিল কিন্তু সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হয়। জানানো হয়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ ব্যাপারে রায় দিলে তবেই এ বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে।

একই সঙ্গে মহম্মদ আসলাম ওরফে ভুরে বনাম ভারত সরকার এবং অন্যান্য মামলায় (৩১ মার্চ, ২০০৩)র প্রসঙ্গ তুলে সরকার জানিয়েছে, "এলাহাবাদ হাইকোর্টে যতদিন এ মামলা চলবে ততদিন ধরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।"



২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। সে রায়ে বাবরি মসজিদে যেখানে ছিল, সেই বিতর্কিত জমি সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল নির্মোহী আখড়া, উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং রামলীলা বিরাজমনের মধ্যে।

মঙ্গলবার কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে অতিরিক্ত জমি ফেরানোর কথা বলেছে। কেন্দ্রের বক্তব্য এই জমি আদালতের আবেদনের বিষয়ভুক্ত নয়। আদালতের রায়ের বিষয়াধীন হল ০.৩১৩ একর বিতর্কিত জমি।

Read the Full Story in English

Ram Temple Babri Mosque Ayodhya
Advertisment