কংগ্রেস ছাড়ার পরই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি এবার নিজেই রাজনৈতিক দল গড়তে চলেছেন। গুলাম নবি আজাদ এবার জম্মু-কাশ্মীরে তাঁর প্রথম সভাও করে ফেললেন। প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতার কথায়, তাঁর নতুন দল গঙ্গা-যমুনি সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ভাবধারা মেনে চলবে এই দল। ঘৃণার দেওয়াল ভেঙে জম্মু-কাশ্মীরকে এক নতুন উচ্চতায় তুলে ধরতেই তিনি দল গড়ছেন। রবিবার ভাষণে তেমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীর উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আজাদ জানান যে তাঁর নতুন দলের মূল লক্ষ্য হবে ৩৭০ ধারার পূর্ববর্তী জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের পুনরুদ্ধার। জমি এবং চাকরির ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষা। বেকারত্বের সমস্যা সমাধান। অভিবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সম্মানজনক ও নিরাপদে উপত্যকায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা। তাঁর নতুন দলের নাম এবং পতাকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আজাদ জানান যে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণই সেটা ঠিক করবে। দলের নাম ও পতাকা ২৫ আগস্ট, ১৯৪৭-এ ভারতের স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মস্তিষ্কপ্রসূত গঙ্গা-যমুনি সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন- আরএসএস-বিজেপির আদর্শকে হারাতে বৃহত্তর বিরোধী ফ্রন্টের ডাক দিলেন রাহুল
প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান প্যাকেজের অংশ হিসেবে উপত্যকায় ফিরে আসা কাশ্মীরি পণ্ডিত-সহ অভিবাসীদের হত্যার বিষয়েও আজাদকে ভাষণে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা যায়। এই প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই রক্তপাত এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। এর আগে আজাদ দিল্লি থেকে কাশ্মীরে পা দেওয়ার পর, তাঁকে সমর্থকদের উচ্ছ্বসিতভাবে স্বাগত জানাতে দেখা যায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক, বিভিন্ন জেলা ও ব্লক উন্নয়ন পরিষদের সদস্যরা-সহ প্রবীণ রাজনীতিবিদরা।
প্রাক্তন বিধায়ক সুহাইব লোন, যিনি আপনি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং সৈয়দ বশির, যিনি মুফতি মহম্মদ সইদের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময় মন্ত্রী ছিলেন, তিনিও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আগামী চার দিনের সফরে আজাদ জম্মুতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। চেনাব উপত্যকা, পীর পাঞ্চাল এবং জম্মু বিভাগের অন্যান্য এলাকা ও কাশ্মীর উপত্যকাতেও সভা করবেন।
Read full story in English