চলতি বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোট রয়েছে। এইসব রাজ্যে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব ও সুচারুভাবে নির্বাচনী কাজের দেখভালের জন্য পর্যবেক্ষকদের নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। পর্যবেক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব ও ছট্টিশগড়ের মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে অশোক হেগলট এবং ভূপেশ বাঘেল-সহ দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতাদের।
এ বছর মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরেলা, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্র শাসিত পুদুচেরির বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে দিকে তাকিয়েই দলের প্রবীণ নেতৃত্বের হাতে বুধবার দায়িত্ব বণ্টন করল কংগ্রেস।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ২০২১-এর প্রথমার্ধের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে এমন রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী প্রচার পরিচালনা এবং সমন্বয়ের তদারকি করার জন্য প্রবীণ নেতাদের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছেন। তাঁদের নিয়োগ তাৎক্ষণিক ভাবে কার্যকর করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে কারা?
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের তরফে পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে প্রবীণ নেতা বিকে হরিপ্রসাদ এবং আলমগির আলমকে। এ ছাড়া পঞ্জাবের মন্ত্রী বিজয় ইন্দর সিঙ্গলাকেও পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে এবারও বাম দলগুলির সঙ্গে নির্বাচনী জোট সুনিশ্চিত করেছে কংগ্রেস। উভয় শিবির থেকেই বলা হয়েছে, এ রাজ্যে চূড়ান্ত আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা চলছে। আপাতত, একযোগে আন্দোলন ও প্রচারের মাধ্যমেই বাম-কংগ্রেস জোটকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে মরিয়া তারা।
অন্যান্য রাজ্যের দায়িত্বে কারা?
* কেরালা - রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইঝিনহো ফ্যালেরিও এবং কর্নাটকের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর।
* আসাম - ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক এবং প্রবীণ নেতা শাকিল অহমেদ খান।
* তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি - প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম বীরাপ্পামৌলি এবং এম এম পাল্লম রাজু ও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নিতিন রাউত।
গত বছর মধ্যপ্রদেশে জয় হাসিল হলেও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়ায় কংগ্রেসের কমলনাথ মন্ত্রিসভার পতন হয়। জ্যোতিরাদিত্যের অনুগামীরা পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে ফের ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী করা হয় শিবরাজ সিং চৌহানকেই। পরে দিল্লি ও বিহার বিধানসভাতেও হাত শিবিরের ফলাফল হয় শোচনীয়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন