নব্বইয়ের দশক থেকেই তিনি বার বার তাঁর গানে মুখর হয়েছেন সমাজের নানা অবক্ষয় নিয়ে। তাঁর গানে একদিকে থেকেছে প্রেম ও অন্যদিকে উঠে এসেছে সাধারণ মানুষের জীবন সংগ্রামের কথা। সামাজিক দুর্নীতি, সমস্য়ার কথাও ধরা পড়েছে তাঁর গানের কথায়। তেমনই এক বহু বছর ধরে চলে আসা দুর্নীতি, কাটমানি নিয়ে গান বেঁধেছেন তিনি এবং সম্প্রতি সেই গানটি স্বকণ্ঠে গেয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তাঁর সোশাল মিডিয়া পেজে।
ওই গানের ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্য়েই ভাইরাল হতে শুরু করে। কয়েক হাজার শেয়ার হয়েছে ওই ভিডিও। শুধু তাই নয়, কাটমানি নিয়ে নানা ধরনের পোস্টও করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। নচিকেতা চক্রবর্তী তাঁর গানে সরাসরি আক্রমণ করেছেন আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতিকে।
সে গানে বার বার এসেছে পরিবর্তন শব্দটি, তাই নেটিজেনদের একাংশ এই গানের মধ্য়ে প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন। আর সেই ভাবনায় ইন্ধন জুগিয়েছে বিজেপি সাংসদ ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয়র একটি পোস্ট। বাবুল সুপ্রিয় তাঁর নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের ভিডিওটি।
ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ''মানুষের মনের কথা গানের মাধ্যমে সঠিক মাত্রার 'Sattire’-এর তড়কা লাগিয়ে সকলের সামনে নিয়ে আসার জন্য নচিকেতা-দাকে আমার অশেষ ধন্যবাদ।''
এ প্রসঙ্গে নচিকেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "গানটা আমি নিজের খেয়ালে লিখেছি, বাবুল কেন প্রশংসা করছে বলতে পারব না। এর মধ্যে সবাই পড়ছে, এমনকী বাবুলও পড়ছে"। সমালোচকের একাংশের প্রশ্ন, নচিকেতা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতি অনাস্থা পোষণ করছেন? নচিকেতার জবাব, "কখনওই না। মমতা আমার কাছে দিদি। আমি ওর প্রতি বায়াসড। কী বলুন তো, রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দায়িত্ব তো আর রামকৃষ্ণ নেবেন না। বাবুল কেন খুশি হচ্ছে জানি না।"
তবে গানটিতে কোনও বিশেষ ব্য়ক্তি বা রাজনৈতিক দলের নাম নেই। বরং ভিডিওটির শুরুতেই লেখা রয়েছে যে এদেশের সমস্ত ভণ্ড রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য়ে এই গান।