এবার বিজেপপি ছাড়লেন হিঙ্গলগঞ্জের বাবু মাস্টার ওরফে ফিরোজ কামাল গাজি। মতাদর্শগত কারণেই তাঁর গেরুয়া শিবির ত্যাগ বলে জানিয়েছেন বাবু মাস্টার। বলেছেন, 'বিভাজনের রাজনীতি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। জীবদ্দশায় আর এই দলটা করব না।'
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোড়া-ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা বাবু মাস্টার। সেসময় তাঁর উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছিল। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে, শুরু থেকেই বিজেপিতে খুব সক্রিয় ভূমিকায় এই মাস্টার নেতাকে দেখা যায়নি।
কেন বিজেপি ছাড়লেন বাবু মাস্টার? তাঁর কথায়, 'এই দল আমার জন্য উপযুক্ত নয়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমি এই বিষয়টা উপলব্ধি করছিলাম। বিভাজনের যে রাজনীতি তা অত্যন্ত বিপজ্জনক।' যেসব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক কর্মী গেরুয়া দলে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে এ দিন বাবু মাস্টার বলেন, 'একজন মুসলিম হিসাবে বলছি যে দু-একজন এখনও ভাবছেন বিজেপিতে যাবেন তাঁদের অবিলম্বে সেই ভাবনাচিন্তা পরিত্যাগ করা উচিত।' পশ্চিমবঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি করে সফল হওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন- পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে আরও এক বিধায়ক, কমতে কমতে বিজেপি এখন ৭০
বিজেপি ছেড়েই অবশ্য তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা করেছেন বাবু মাস্টার। বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতে বাংলায় তৃণমূলের প্রতিপক্ষ হতে পারে এমন কোনও দল নেই।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতিমূর্তি বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁকে সর্বভারতীয় নেত্রীর আসনেও বসিয়েছেন। যা তাঁর পুরনো দলে ফেরার জোড়াল ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন এতদিন পর বিজেপি ছাড়র ঘোষণা? বাবু বলেন, 'পরিবেশের কারণে আগে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারিনি। যাই হোক বিজেপি দলটা আর জীবদ্দশায় করব না।'
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সপকান্ত মজুমদার বাবু মাস্টারের দলত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, 'উনি আমাদের দলের ছিলেন না। স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসেছিলেন। হচ্ছে না দেখে বিজেপি ছাড়লেন। থাকলে ভালো হত। কিন্তু, ওনার চলে যাওয়ায় কোনও অসুবিধা হবে না।'
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন