Union Minister Babul Supriyo Heckled Case News: বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় নয়া মোড়। বাবুলের চুল ধরে টানছে এক যুবক, এমন ছবিই ধরা পড়েছিল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। সেই ছবির সাহায্যেই অভিযুক্তকে ফেসবুক থেকে খুঁজে বের করেন বাবুল সুপ্রিয়। দেবাঞ্জন নামে ওই যুবকের ছবি টুইট করে তাঁকে খুঁজে বের করার আবেদন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এবার সেই দেবাঞ্জনের বিবৃতি সামনে এল। দেবাঞ্জন বল্লভ নামে স্বাক্ষরিত একটি তথাকথিত বিবৃতি এদিন সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, ১৯ সেপ্টেম্বর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন বাবুল সুপ্রিয়, তখন এনআরসি ইস্যুতে বেশ কিছু প্রশ্ন করে কয়েকজন পড়ুয়া। এরপরই উনি ওঁর শারীরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলে, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেন। মন্ত্রীমশাই এক ছাত্রীর গলা টিপে ধরেন, গালিগালাজ করেন। এমন সময় উনি আমার দিকে উদ্ধত হয়ে হাত চালাতে এলে আত্মরক্ষার জন্য হাতটাকে সামনে এগিয়ে আনি। এই ছবিটিকে মিডিয়ার একাংশ বিকৃত করে প্রচার করছে। মন্ত্রী মশাই নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন এটা। বিজেপির আইটি সেলও তা করছে। বিজেপির কর্মীদের দ্বারা গণপিটুনি খাওয়ানোর বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করছেন তিনি। এই অবস্থায় আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের কাছে আবেদন করছি।
src="https://www.youtube.com/embed/XVA2YR62guE" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
যাদবপুরকাণ্ডে নিজের অবস্থানে অনড় রইল তৃণমূল। শুক্রবার রাজভবনের দ্বিতীয় বিবৃতির পর পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা আমাদের অবস্থানে অনড়...পড়ুয়াদের যারা হেনস্থা করেছে, যারা ভাঙচুর চালিয়েছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে...প্রশাসন শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে...উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’’। উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়কে ‘চরম হেনস্থা’র ঘটনায় বৃহস্পতিবারই বিবৃতি পেশ করে রাজভবন। যেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির দিক তুলে ধরা হয়। এদিকে, বাবুলকে উদ্ধারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের যাওয়া ঠিক হয়নি বলে বিবৃতি দিয়ে জানান তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পাল্টা হিসেবে শুক্রবার রাজভবন ফের বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যের যে, তৃণমূল মহাসচিব গতকাল প্রেস বিজ্ঞপ্তি পেশ করে বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওযার আগে রাজ্যপালের উচিত ছিল সরাকরকে জানানো। এটা অসত্য কথা’’। ফলে তৃণমূল সরকার বনাম রাজভবন সংঘাত নয়া মোড় নিল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নয়, বহিরাগতরা জড়িত, শুক্রবার এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে সঙ্গে নিয়ে এদিন রাজ্যপালের কাছে যান মুকুল। রাজভবন থকে বেরিয়ে মুকুল বলেন, ‘‘কাল উনি যে সাহস দেখিয়েছেন রাজ্যপাল ও আচার্য হিসেবে, এটা বড় ব্যাপার। কাল রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন অথচ সিপি নেই, ডিজি নেই। শুধুমাত্র ছাত্র ছিল না, বহিরাগত ছিল। বাবুলকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। পশ্চিম বাংলায় যে অরাজক অবস্থা চলছে, সব তথ্য রাজ্যপালকে দিয়েছি’’। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যে ছেলেটা বাবুলের চুলের মুঠি ধরে টেনেছে, সে যাদবপুরের ছাত্র নয়, সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে’’। দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন’’। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যাঁরা হেনস্থা করেছেন, তাঁদের পেটানোর হুমকি দিলেন সায়ন্তন।
Live Blog
Babul Supriyo heckled at JU Updates: বাবুল সুপ্রিয়কে ‘চরম হেনস্থা’ ঘিরে ধুন্ধুমার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ঘটনাকে ঘিরে এসএফআই-এবিভিপি চাপানউতোর তুঙ্গে। এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উপর হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন বাবুল সুপ্রিয়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের মুখে পড়েন। তাঁর অভিযোগ, এ সময় তাঁর চুল ধরে টানা হয় এবং চড়, ঘুষি মেরে জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, বাবুলের চুল ধরে টানছে এক যুবক, এমন ছবিও ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। সেই ছবির সাহায্যেই এবার অভিযুক্তকে ফেসবুক থেকে খুঁজে বের করলেন বাবুল সুপ্রিয়। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ‘চুলের মুঠি ধরে টেনেছে এই ছেলেটাই’, চিহ্নিত করলেন বাবুল সুপ্রিয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিয়ন রুম ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টা হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ বলেন, ‘‘১০০ বার ভাঙবে, বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ওখানে দেশদ্রোহিতার শিক্ষা দেওয়া হয়। দরকার হলে কমিউনিস্টদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেব যাদবপুরে’’। উল্লেখ্য, বাবুলকে নিগ্রহের পরই যাদবপুরে ছাত্র ইউনিয়নের রুমে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে।
বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনায় সরব দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যে ছেলেটা বাবুলের চুলের মুঠি ধরে টেনেছে, সে যাদবপুরের ছাত্র নয়, সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে’’। দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন’’।
বাবুলকে নিগ্রহের ঘটনায় সরব বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার। শুনে নিন কী বললেন?
যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে কী বললেন জয়প্রকাশ মজুমদার?https://t.co/I4HBeRAoo9 pic.twitter.com/fm3ycOq7LV
— IE Bangla (@ieBangla) September 20, 2019
রাজভবনে এদিন মুকুল রায় বলেন, ‘‘কাল উনি যে সাহস দেখিয়েছেন রাজ্যপাল ও আচার্য হিসেবে, এটা বড় ব্যাপার। কাল রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন অথচ সিপি নেই, ডিজি নেই। শুধুমাত্র ছাত্র ছিল না, বহিরাগত ছিল। বাবুলকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। পশ্চিম বাংলায় যে অরাজক অবস্থা চলছে, সব তথ্য রাজ্যপালকে দিয়েছি’’। এদিন মুকুল বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা অন্যায় করে থাকলে তদন্ত করা হোক, আমরা তদন্তের মুখোমুখি হতে চাই’’। পার্থকে বিঁধে মুকুল বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যেতে পারছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অথচ শিক্ষামন্ত্রী যেতে পারলেন না’’।
যাদবপুরকাণ্ডে আবারও বিজ্ঞপ্তি পেশ রাজভবনের। এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যের যে, তৃণমূল মহাসচিব গতকাল প্রেস বিজ্ঞপ্তি পেশ করে বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওযার আগে রাজ্যপালের উচিত ছিল সরাকরকে জানানো। এটা অসত্য কথা’’। রাজভবন জানিয়েছে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, যাদবপুরে বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বারণ করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রিকে উদ্ধার করতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে বলেন, 'এই তাণ্ডবের মাঝে আপনি যাবেন না। প্রশাসন বিষয়টা দেখছে'। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কর্ণপাত করেননি রাজ্যপাল।
Raj Bhavan Press Release (As received from the Media):
Kolkata
NO. 072-P
September 20, 2019#JadavpurUniversity @BJP4Bengal @AbvpBengal pic.twitter.com/19TX133eAA— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 20, 2019
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার প্রতিবাদে অবস্থানে বসল এবিভিপি। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি এবিভিপি-র। এ প্রসঙ্গে এক এবিভিপি সদস্য বলেন, ‘‘যতদিন পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ না করছেন, ততদিন অবস্থান চালাব। বাবুল সুপ্রিয়কে যারা হেনস্থা করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি’’। ইউনিয়ন রুম ভাঙচুরের ঘটনায় এবিভিপির এক সদস্য বলেন, ‘‘এবিভিপি কোনও ভাঙচুর করেনি। এসএফআই করেছে’’।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘আমি যেখান থেকে পাশ করেছি, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পডড়ুয়ারা আমার সঙ্গে এরকম ভাবে হেনস্থা করতে পারে ভাবতে পারিনি। আমাকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, তার ফুটেজ রয়েছে’’। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি দফতর থেকে মিছিল বের করে গেরুয়াবাহিনী।
যাদবপুরের ঘটনায় সরব বিশিষ্টরা। ‘সিটিজেন স্পিক ইন্ডিয়া’র তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিশিষ্টরা। বিজ্ঞপ্তিতে সই রয়েছে অপর্ণা সেন, অনুপম রায়, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, ঋদ্ধি সেন-সহ প্রমুখদের।
বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যাঁরা হেনস্থা করেছেন, তাঁদের পেটানোর হুমকি দিলেন সায়ন্তন। এ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো ছিলই না। কাল রাজ্যপাল না গেলে বাবুল সুপ্রিয়কে বাঁচিয়ে ফেরাতে পারতাম না। যাঁরা বাবুলের উপর আক্রমণ করেছেন, তাঁদের রাস্তায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল। আজকে থেকে পেটানো শুরু হবে’’।
বাবুল সুপ্রিয়কে ‘চরম হেনস্থা’র প্রতিবাদে রাজ্য বিজেপি দফতর থেকে মিছিল বের করল গেরুয়া বাহিনী। এদিন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা কিছু নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো ছিলই না। কাল রাজ্যপাল না গেলে বাবুল সুপ্রিয়কে বাঁচিয়ে ফেরাতে পারতাম না’’।
যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এদিন তিনি বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। পরবর্তী সময়ে ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা নিজেরাই অত্যন্ত দুঃখিত, লজ্জিত ও হতবাক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো ওভাবে পুলিশ ডাকা যায় না। তাই স্যার (উপাচার্য) ডাকেন নি’’। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় তিনি পুলিশ ডাকবেন না সাফ জানিয়ে দেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। সূত্রের খবর, উপাচার্য জানান, তিনি দরকার হলে পদত্যাগ করবেন তবে পুলিশ ডাকবেন না। এদিনই অসুস্থ হয়ে ঢাকুরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনা প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মাননীয় মন্ত্রীকে আহ্বান করি নি। আমাদের কাছে খবর ছিল না’’।
যাদবপুরের ঘটনায় বিকেল চারটের পর কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারাও বিরাট মিছিলের ডাক দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে এই মিছিল ঢাকুরিয়া পর্যন্ত যাবে বলে খবর। অন্যদিকে, যাদবপুরের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। আরএসএস-বিজেপি-এবিভিপির সাম্প্রদায়িকতা, ফ্যাসিবাদ ও গুন্ডামির বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্সিতেও বিকেল পাঁচটা নাগাদ জমায়েতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পড়ুয়ারা।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, তাঁকে মারধর করেছে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। এমনকি তাঁর শাড়িও ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে সরব ছিলেন এই ফ্যাশন ডিজাইনার। গোটা ঘটনার জন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন অগ্নিমিত্রা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। অগ্নিমিত্রা পল জানান, "আমার পক্ষে কে করেছে তা নাম ধরে বলা সম্ভব নয়, তবে তারা সামনে এলে আমি চিনিয়ে দিতে পারব"।
দেবাঞ্জন বল্লভ নামে স্বাক্ষরিত একটি তথাকথিত বিবৃতি এদিন সংবাদমাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে দেবাঞ্জন জানিয়েছেন, ১৯ সেপ্টেম্বর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন বাবুল সুপ্রিয়, তখন এনআরসি ইস্যুতে বেশ কিছু প্রশ্ন করে কয়েকজন পড়ুয়া। এরপরই উনি ওঁর শারীরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলে, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেন। মন্ত্রীমশাই এক ছাত্রীর গলা টিপে ধরেন, গালিগালাজ করেন। এমন সময় উনি আমার দিকে উদ্ধত হয়ে হাত চালাতে এলে আত্মরক্ষার জন্য হাতটাকে সামনে এগিয়ে আনি। এই ছবিটিকে মিডিয়ার একাংশ বিকৃত করে প্রচার করছে। মন্ত্রী মশাই নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন এটা। বিজেপির আইটি সেলও তা করছে। বিজেপির কর্মীদের দ্বারা গণপিটুনি খাওয়ানোর বাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করছেন তিনি। এই অবস্থায় আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের কাছে আবেদন করছি।
রাজভবনের দ্বিতীয় বিবৃতির পাল্টা বিবৃতি তৃণমূলের। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা আমাদের অবস্থানে অনড়...পড়ুয়াদের যারা হেনস্থা করেছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে...উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’’।
যাদবপুরকাণ্ডে শহরের রাজপথে মিছিল পড়ুয়াদের একাংশের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়ের পাশাপাশি তাঁকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। শুক্রবার যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানালেন তিনি।
বাবুল সুপ্রিয়কে ‘চরম হেনস্থার’ ঘটনায় ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যাদবপুরকাণ্ডে শুক্রবার দিলীপের হুঙ্কার, ‘‘বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের হাত কীভাবে ভাঙতে হয়, তা আমরা জানি। আজ হোক বা কাল, তা আমরা করবই। যত বড়ই ছাত্র বা শিক্ষক হোক না কেন, এটা করার ক্ষমতা আমাদের আছে’’। দিলীপ আরও বলেন, ‘‘বেহায়ার সীমা ছাড়িয়েছে যাদবপুরের ছাত্ররা’’। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহের ঘটনায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর বিজেপি নেতাদের গলায়। দিলীপের এহেন হুঙ্কারের আগে এদিন রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘‘যাঁরা বাবুলের উপর আক্রমণ করেছেন, তাঁদের রাস্তায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল। আজকে থেকে পেটানো শুরু হবে’’। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ‘বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের হাত ভাঙব’, ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিলীপের
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে তাণ্ডবের অভিযোগ, এই প্রতিবাদেই মিছিল পড়ুয়াদের একাংশের। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার যাদবপুর ক্যাম্পাসে বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে ধুন্ধুমার হয়। এরপরই ইউনিয়ন রুম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে এবিভিপি-র বিরুদ্ধ। ছবি: পার্থ পাল।