সুব্রত মুখোপাধ্যায় জিতেছিলেন প্রায় ৭০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে। আর বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় জিতলেন ২০ হাজারের বেশি ভোটে। তবে হারলেন ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের ভোট কমল। এক বছরের মধ্যে ওই কেন্দ্রে প্রায় ২০ শতাংশের মত ভোট বাড়িয়ে দ্বিতীয়স্থানে উটে এসেছেন সায়রা হালিম। অক্সিজেন পেল সিপিআইএম। বিজেপি কার্যত ধরাশায়ী। বালিগঞ্জের ভোট ঘিরে অনেক সমীকরণ। কিন্তু ফুল পাল্টেও জয়ের ধারা বজায় রাখতে পেরে আপ্লুত বাবুল সুপ্রিয়।
একের পর এক রাউন্ড শেষে তৃণমূলের ব্যবধান বাড়ছিলই। শেষে দুপুরে এল সুখবর। তারপরই বাবুল সুপ্রিয় ববলেন, 'আমি এই জয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করছি। আমাকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে উনি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। আমার উপর ভরসা করে প্রার্থী করেছিলেন। তাই এটা মা, মাটি, মানুষ ও দলনেত্রীর জয়।'
নিজের জয়ের নেপথ্যে বিরোদীদের কুৎসা রটানোকেও দায়ী করেছেন বালিগঞ্জের বাবুল। বলেছেন, 'আমার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিআইএম, বিজেপি নির্লজ্জভাবেকুৎসা করে গিয়েছিল। তার ফল কী হতে পারে তা আজ ওঁরা দেখে নিয়েছেন।'
তবে ৬৪ ও ৬৫ ওায়ার্ডে এবারের উপনির্বাচনে পিছিয়ে রয়েছেন জোড়া-ফুল প্রার্থী। যা নিয়েই তৃণমূলে চাপা টেনশন। বাবুল বলছেন, 'কেন ফল খারাপ হল তার পর্যালোচনা করা হবে।' একই কথার প্রতিফলন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমারের মন্তব্যেও। তাঁর দাবি, 'এবার ওই দুই ওয়ার্ডের মানুষ আমাদের দলকে পছন্দ করেননি। তবে পিছিয়ে রয়েছি খুবই কম ভোটের ব্যবধানে। তাই পরের ভোট জয় পাবই।'