রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে বিজেপিতে মতুয়া বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। নজিরবিহীন ভাবে একের পর এক পাঁচ মতুয়া বিধায়ক ছেড়েছেন বিজেপির পরিষদীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। তা দেখে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপিত্যাগী বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও তোপ দাগতে ছাড়লেন না।
কী বলেছেন বাবুল সুপ্রিয়?
বাবুল সুপ্রিয় টুইটে লিখেছেন, 'নিজগুনে' পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির। আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে। শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাশে গেছেন। আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান- মুরলীধর লেন |
বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে কাঁকড়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন তৃণমূল নেতা। কাঁকড়ার বৈশিষ্ট্য হল, একটি কাঁকড়া কখনও আরেকটি কাঁকড়াকে উপরে উঠতে দেয় না। বাবুলের টুইটে দাবি, কাঁকড়ার মতো বঙ্গ বিজেপির নেতারা একে অপরকে নীচে টেনে নামাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার জেলা কমিটি গঠন হওয়ার পরই ক্ষোভে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বিজেপির পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিধায়ক ও নদিয়ার তিন বিজেপি বিধায়ক দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। এঁরা হলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার উত্তরের বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের মুকুমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর অম্বিকা রায়।
আরও পড়ুন বিজেপিতে বিড়ম্বনা! দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ একাধিক বিধায়কের
সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি নির্বাচন এবং রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিদের গুরুত্ব না দেওয়ায় পাঁচ বিধায়ক দলের সমস্ত গ্রুপ ছেড়েছেন। মতুয়া বিদ্রোহ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চাইছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে নালিশ করতে চান বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।