বালিগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। রবিবার বাবুলের আবেদনেও সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জগদীপ ধনকড়ের দাবি, গণমাধ্যমে স্পিকারকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুরোধ গ্রহণযোগ্য নয়। গণমাধ্যমে এমন অনুরোধ সংবিধান পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত টুইট করে রাজ্যপালকে শপথ জটিলতা কাটাতে টুইট করেন বাবুল নিজে। কিন্তু তাতেও রাজ্যপাল নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। গতকাল বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে ধনকড়কে অনুরোধ করেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর কয়েক মাস ধরে বালিগঞ্জ বিধায়ক শূন্য। শপথবাক্য পাঠ করাতে দয়া করে স্পিকারকে অনুমতি দিন, যাতে আমি কাজ শুরু করতে পারি। কিন্তু বাবুলের আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, সদ্য বালিগঞ্জ কেন্দ্রে থেকে উপনির্বাচনে জিতেও শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে জটিলতায় বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যপাল অনেক টালবাহানার পর ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন শপথ বাক্য পাঠ করোনার। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা স্পিকারের অবমাননা। পাল্টা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন, সাংবিধানিক রীতি লঙ্ঘন করা উচিত নয় রাজ্যপালের।
১৬ এপ্রিল উপনির্বাচনে জিতেও এখনও শপথ নিতে পারেননি বাবুল। শপথগ্রহণের অনুমতি চেয়ে মাঝে দুবার পরিষদীয় দফতরের তরফে রাজ্যপালকে চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু পাল্টা রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, বিধানসভা সংক্রান্ত কিছু বিষয় রয়েছে যার তথ্য চেয়েও পাননি তিনি।
আরও পড়ুন ‘তৃণমূলে গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার’, বিতর্ক বাড়তেই পোস্ট ডিলিট দেবাংশুর
এদিকে, শপথ জটিলতা নিয়ে বিধানসভার স্পিকার এবং বাবুল সুপ্রিয় রীতিমতো বিরক্ত। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুল জানিয়েছেন, ছেলেকে শপথ নিতে দেখতে চেয়েছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু এই জটিলতার জেরে তা না দেখেই আমেরিকা চলে যেত হয়েছে তাঁকে।