হিন্দু-মুসলিম, তপসিলি জাতি-উপজাতিসহ জাতপাতের ভোট ব্যাংক নিয়ে লড়াই চলছে। ২০২১ নির্বাচনে রাজ্য দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এবার ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের দাবিতে ধর্মতলায় রানি রাসমণি রোডে জনসভা করতে চলেছে বাংলা পক্ষ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণের আইন জারি হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই এরাজ্যে ভূমিপুত্রদের নিয়ে আন্দোলন করছে বাংলা পক্ষ। তাঁরা আন্দোলন করছে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়েও। বাংলাপক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি বলেন, "কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান, কংগ্রেস-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্র, বিজেপি জোট শাসিত হরিয়ানা, বিজেপি শাসিত গুজরাট, ওয়াই এসআর কংগ্রেস শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ, তাছাড়া তেলেঙ্গানা, কর্নাটকসহ প্রায় প্রতিটি রাজ্য চাকরি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করেছে। কোথাও ৭৫ শতাংশ। কোথাও ৮০ থেক ৮৫ শতাংশ। সরকারি বা বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই।"
এই সংগঠন মনে করে, বাংলায় কাজ আছে কিন্তু বাঙালীর কাজ নেই{ বাঙালীর মাইগ্রেশন ৪.৮ শতাংশ। অথচ বাংলায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশের ওপর অবাঙালী চাকরি করে। আসানসোলে ২০ শতাংশের কম বাঙালী চাকরি করে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় একই দশা। বাংলা পক্ষের দাবি, "সরকারি ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাকে চাকরি দিতে হবে। বিভিন্ন বেসরকারি ঠিকা কাজ, টেন্ডার, ক্যাবের লাইসেন্স ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ ভূমিপুত্রদের সংরক্ষণ করতে হবে।"
কাদের ভূমিপুত্র হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে?
কৌশিকের কথা অনুযায়ী, "বাঙালী মানেই ভূমিপুত্র ভাবার কোনও কারণ নেই। ১৫-২০ বছর যাঁরা বাংলায় আছে তাঁরাই ভূমিপুত্র। সেক্ষেত্রে সাঁওতাল, কোচ, নেপালি এমনকী বিহারী, মারোয়াড়ীরাও ভূমিপুত্র। তাঁদের সমস্ত কিছুতেই অধিকার আছে।"
সমস্ত চাকরি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের বাংলা বাধ্যতামূলক করার দাবি করছে বাংলা পক্ষ। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ১৭ জানুযারী রাণী রাসমনি রোডে বাংলা পক্ষের এই জনসভা অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ। এর আগে তাঁদের দাবি দাওয়া বিধানসভায় উত্থাপন করার জন্য প্রায় ৭০ বিধায়ককে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলা পক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন