বাংলাদেশে গরু পাচারের অভিযোগে যখন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই। একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়ি। তাঁদের গ্রেফতার করছে। সেই সময় যে দেশে গরু পাচারের অভিযোগে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই প্রতিবেশী বাংলাদেশ সরকার মুখ খুলল।
এতদিন বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো চুপ ছিল সেদেশের সরকার। কিন্তু, এবার মুখ খুলে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা সোজা কথা, 'বাংলাদেশ মোটেও ভারতের গরুর ওপর নির্ভর করে নেই। গরু পাচারের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমি নিজেও বলছি, পাচার বন্ধ হবে। এনিয়ে আলোচনাও চলছে। তাই ধৈর্য রাখতে হবে।'
হাসিনা বলেন, 'আমাদের নিজেদের দেশে প্রচুর গরু আছে। আমরা নিজেরাই গরুর জোগান বাড়িয়েছি। দেশের আর্থিক উন্নতির জন্যই সেটা জরুরি ছিল। গরু পাচার বাড়ার বদলে বরং, এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেটাও বন্ধের চেষ্টা চলছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরাও এনিয়ে কথা বলছেন।'
আরও পড়ুন- নতুন দল গঠনে জম্মুতে সভা আজাদের, অবিলম্বে পণ্ডিত হত্যা বন্ধের ডাক
সোমবারই ভারত সফরে আসছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা। তিস্তার জল থেকে শুরু করে মোদী সরকারের কাছে তাঁর দাবির তালিকাও বেশ লম্বা। তার মধ্যেই ভারত সরকারের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে স্বভাবতই উঠতে পারে গরু পাচার প্রসঙ্গ। কারণ, বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়েই উত্তপ্ত এই বাংলার রাজনীতি। তাই আলোচনার তালিকায় গরু পাচারের প্রসঙ্গ থাকার সম্ভাবনা হাসিনাও উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, 'আমিও এনিয়ে কথা বলব।'
তবে, যাঁরা সীমান্তে দাঁড়িয়ে কাঁটাতারের বেড়া সামলান। যাঁরা পাচারের ওপর সরাসরি নজরদারি করতে পারেন, তাঁদের ওপরই ভরসা রাখতে চান হাসিনা। বললেন, 'দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনার জওয়ানরা এখন একসঙ্গে বৈঠক করছেন। কোনও ঘটনা ঘটলে, তা নিয়ে ফ্ল্যাগ মিটিং করছেন। তাই আমি নিশ্চিত যে গরু পাচার আরও কমবে।'