কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন মাশরাফি মোর্তাজা। বাংলাদেশের অধিনায়ক এবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন ভোটের ময়দানে। গত সোমবার এমনটাই জানিয়েছে সেদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ। দলের এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সঙ্কেত পেয়েই বছর পঁয়ত্রিশের স্টার ক্রিকেটার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মোর্তাজা নিজের শহর থেকেই ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। খুলনার নড়াইল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন এই ফাস্ট বোলার।
গত সোমবার বাংলাদেশের একাধিক সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় মোর্তাজার সঙ্গে হাসিনার ছবি ছাপানো হয়েছিল। মোর্তাজার ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ডেরও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনিস বললেন, “নির্বাচনে দাঁড়ানো সাংবিধানিক অধিকার। মোর্তাজা যদি সেটা করতে চায়, তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে আমরা আশা করব ও নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার আর রাজনীতির মধ্যে একটা ভারসাম্য় বজায় রেখেই চলবে।”
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে পাঁচ বছরে এই প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল জিম্বাবোয়ে
আগামী ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার দল বিরোধী জোটের সামনে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে। মূলত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) তাঁদের প্রধান বিরোধী। এর আগে বাংলাদেশের আরেক স্টার ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান ভোটে দাঁড়াবেন বলেই মনস্থির করে ফেলেছিলেন। কিন্তু হাসিনার অনুরোধে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার নির্বাচনী লড়াই থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। প্রধানমন্ত্রী শাকিবকে জানিয়েছিলেন যে, সামনেই বিশ্বকাপ। সেই কথা মাথার রেখেই তাঁর ক্রিকেটে ফোকাস করা উচিত।
দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেটারদের ভোটের ময়দানে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ক্রিকেট ছেড়ে রাজনীতিতে এসে তেহরিক-ই-ইনসাফ দল গঠন করেছিলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। সেই ইমরানই এখন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় রাজনীতিতে নভজোত সিং সিধুও পরিচিত মুখ। পাঞ্জাবের মন্ত্রীও তিনি। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে খেলতেই রাজনীতিতে আসার ঘটনা কিন্তু বেনজির।