বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জনতা দলের (ইউনাইটেড) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার তার বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ১৫ টি বিশিষ্ট বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন।
২৩ জুন দেশের ১৫টি শীর্ষ বিরোধী দলের সুপ্রিমোদের নিয়ে পাটনায় বৈঠকে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রণকৌশল নির্ধারণে এই বৈঠকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে অর্ডিন্যান্স ইস্যু নিয়ে কংগ্রেসের মতবিরোধ ছাড়া পাটনা কনক্লেভ ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হয়ে উঠেছে।
প্রথমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই বৈঠক আয়োজন করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা, খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীকে এক মঞ্চে আনতে পেরেছিলেন নীতীশ।
অধ্যাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং কেজরিওয়ালের মধ্যে মতবিরোধ সত্ত্বেও নীতীশ তাদের পাটনায় একটি সাধারণ বিরোধী আসন ভাগ করে নেওয়ার জন্য একত্রিত করেছিলেন। সিমলায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুলাইয়ের দ্বিতীয় মেগা বৈঠকের দিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।
পাটনা কনক্লেভ মমতা বন্দোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একে অপরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। বৈঠক শেষে মমতার বার্তা "আমরা এক এবং আমরা একসঙ্গে লড়ব", এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট বিরোধী দলগুলি "একটি পরিবারের মতো, একসঙ্গে" বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পথে নামতে চলেছে।
বিশিষ্ট বিরোধী মুখের মধ্যে রাহুল গান্ধী অন্যতম। তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন যে অ-বিজেপি দলগুলির মধ্যে "কিছু মতপার্থক্য" থাকতে পারে তবে "দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তারা সকলে একসঙ্গে চলতে" প্রস্তুত।
এই বৈঠকে RJD প্রধান লালু প্রসাদ তার দীর্ঘ অসুস্থতার ফের লাইমলাইটে ফিরে এসেছে। বৈঠকের আগে মমতা ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন সহ সব নেতাই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। লালুপ্রসাদ স্পষ্ট করেছেন যে এটি সম্পূর্ণরূপে নীতীশ কুমারের ডাকে বিরোধী জোটের বৈঠক নয় বরং মহাজোট সংগঠিত একটি অনুষ্ঠান - জেডি (ইউ), আরজেডি, কংগ্রেস এবং অন্যান্য তিনটি দলের মহাজোট।
বিরোধী দলগুলির মধ্যে যদিও সেদিনের বৈঠকে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কোন আলোচনা করা হয়নি, ভবিষ্যতের বৈঠকগুলিতে সেই বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক কংগ্রেস এবং কিছু বড় আঞ্চলিক দলের সমন্বয়ে একটি সাধারণ বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টা ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে একটি বড় মাইলফলক ।