হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছে এবিভিপি। যার জেরে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিবিসির এই তথ্যচিত্র এদেশে প্রদর্শন বেআইনি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদী ও সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকাকে খাটো করে দেখানো হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। তার প্রেক্ষিতেই তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, সম্প্রচার মন্ত্রক।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট থেকে তথ্যচিত্রকে সরানো হয়েছে। বিশেষ নির্দেশনামা জারি করে ওই সব সোশ্যাল সাইটকে তথ্যচিত্র সরাতে বাধ্য করেছে কেন্দ্র। এই ব্যাপারে ২০২১ সালের জরুরি তথ্যপ্রযুক্তি আইন কাজে লাগিয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রকও বিবৃতি জারি করে এই তথ্যচিত্রটিকে 'অপপ্রচার' বলে অভিযোগ করেছে। কারণ, এই তথ্যচিত্রে অপ্রমাণিত অভিযোগকে কার্যত প্রমাণিত হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে।
তথ্যচিত্রটির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার আগে বিভিন্ন মন্ত্রকের আমলারা তা খতিয়ে দেখেন। তার পরই তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ভারতে এই তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করেনি বিবিসি। কিন্তু, তারা সোশ্যাল সাইটে তা ছেড়েছিল। সেখান থেকে এই তথ্যচিত্র যে কেউ ডাউনলোড করে নিতে পারে বা দেখতে পারে। সেই আশঙ্কা ছিল। এতে দেশে হানাহানিতে প্ররোচনা দেওয়া হবে। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র। আর, সেই সব কারণে ভারতে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে মোদী সরকার অত্যন্ত তৎপর।
আরও পড়ুন- মাসে ১.৩০ লক্ষ টাকায় কীভাবে সংসার চলবে! শামির বিরুদ্ধে জিতেও ফের মামলার পথে হাসিন
তার মধ্যেই অভিযোগ উঠল যে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসে গত শনিবার তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। সেই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন' তথ্যচিত্রটি আদৌ হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানো হয়েছে কি না।
Read full story in English