Jharkhand Assembly Ruckus: "আপনারা ক্ষুব্ধ হলে আমাকে মারধর করুন। কিন্তু বিধানসভা অধিবেশন চলতে দিন। কোনওরকম অসম্মান বরদাস্ত হবে না।" মঙ্গলবার বিক্ষোভরত বিজেপি বিধায়কদের এই ভাষায় বার্তা পাঠালেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অধ্যক্ষ। সে রাজ্যের বিধানসভা ভবনে নমাজ পাঠের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুমতির বিরোধিতা করেই আসরে বিজেপি।
সোমবারের পর মঙ্গলবারেও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। তাঁদের মুখে ছিল জয় শ্রী রাম এবং হনুমান চালিশা মন্ত্র। বিরোধী বিধায়কদের হল্লায় এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। এরপরেই অধিবেশন সচল করতে আসরে নামেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ মাহাতো। বিরোধী বিধায়কদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘অনুগ্রহ করে নিজেদের জায়গায় গিয়ে বসুন। আমি মর্মাহত। কালকেও আপনারা অভব্য আচরণ করেছেন। এটা সাড়ে ৩ কোটি মানুষের বিশ্বাসের জায়গা। আপনাদের ব্যবহার প্রত্যককে বেদনা দিচ্ছে। আমার চেয়ারকে উপহাসের পাত্র করবেন না।‘
অধ্যক্ষের আবেদনের পাল্টা বিজেপি বিধায়ক সিপি সিং বলেন, ‘বিধানসভার সুপ্রিম ব্যক্তি স্পিকার। কিন্তু উনি যখন নিরপেক্ষতা হারান, তখন সেটাও বেদনা দেয়।‘ এদিকে, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অভ্যন্তরে স্পিকার একটি ঘর নমাজের জন্য বরাদ্দ করেছেন। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক। প্রতিবাদে মুখর বিজেপি। অবিলম্বে ওই ছাড়পত্রের প্রত্যাহার, নয়তো বিধানসভার অন্দরের মন্দির-সহ অন্যন্য ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরির দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদকে কেন্দ্রকে বিধানসভার বাইরে ও ভিতরে হৈচৈ হয়। যার জেরে অধঘিবেশন সাময়িক মুলতুবি করে দেওয়া দেন স্পিকার।
দিনের শুরুতেই হনুমান চালিশা হাতে বিধানসভায় আসেন পদ্ম বিধায়করা। বিধানসভার সিঁডিতে বসে পড়ে হনুমান চালিশা পাঠ করতে থাকেন তাঁরা। সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়। বিভিন্ন ভগবানের নাম লেখা প্ল্যাকার্ডও প্রদর্শন করা হয়। এরপর অধিবেশন শুরু হলে শুরুতেই ওয়েলে নেমে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। নমাজের জন্য ঘর বরাদ্দের ঘোষণা স্পিকারকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। চলতে থাকে তুমুল হইহট্টগোল। সেই প্রতিবাদের রেশ এদিনও টের পেয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন