তমলুকের সভা থেকে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে পদ্ম ফোটানোর হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি। একই সঙ্গে শুভেন্দুকে নিশানা করে রবিবার কুলপির সভায় 'ঘুষখোর' বলেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে সেই আক্রমণেরও জবাব দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। অভিষেককে 'চিটিংবাজ' বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুলকে জড়িয়েও এদিন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁকে 'ঘুষখোর', 'মধুখোর', 'বিশ্বাসঘাতক' বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জবাবে তমলুকের সভায় শুভেন্দু বলেন, 'তোলাবাজ ভাইপোর মতো এরকম চিটিংবাজ লোক খুব কম আছে। ছোট থেকেই চিটিংবাজিতে হাত পাকিয়েছে। এখন আর কেন ভাইপো নামের পাশে এমবিএ লেখেন না? গৌতম দেব একবার বলেছিলেন দিল্লির যে প্রতিষ্ঠানের কথা ভাইপো উল্লখ করেছিলেন তা আদতে নেই। তারপর থেকেই এমবিএ লেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।'
তোলাবাজি দুর্নীতি নিয়ে অভিষেককে বিঁধতে এদিন ফের গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুলের প্রসঙ্গে টানেন তিনি। বলেন, 'লালার টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে?' এদিন থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের ডিটেল দিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, 'প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ম্যাডাম নারেলার নামে থাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। ম্যাডাম নারেলা কে, তাও ক্রমশ প্রকাশ্যে আনবো।'
১১ সালে পরিবর্তনের আগে ও পরে তার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অবস্থা একই রয়েছে বলে স্পষ্ট জানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, বলেন, 'আমার ১১ সালের আগে যা ছিল, আজও তা আছে। ঘড়ি, বাড়ি, গাড়ি কোনওটাই পাল্টায়নি, কারণ মধু আমি খাইনি।'
রাজ্যজুড়ে এবার গেরুয়া আবীর উড়বে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিসেম্বরে শুভেন্দুকে নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। এরপরই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। জল্পনা এখন শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগ নিয়ে। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শুভেন্দু বলেন, 'আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। রামনবমীর আগে সব পদ্ম ফুটে যাবে। ১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন