Bengal Assembly: অনেকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য রাজ্য বিধানসভায় বিধান পরিষদ আসনকে ফের কার্যকরী করা। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর একবার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সাড়া দেয়নি দেশের সংসদ। এবার বিধানসভা ভোটের আগেও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের তাঁর সরকার হ্যাটট্রিক করলে তিনি ফিরিয়ে আনবেন বিধান পরিষদ। সেই ঘোষণাকে বুধবার মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট ১৯৬ আর বিপক্ষে ভোট ৬৯।
জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক এবং সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বিপক্ষেই ভোট দিয়েছে। সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেস শূন্য রাজ্য বিধানসভায় তাদের প্রতিনিধি বিধান পরিষদ ফিরিয়ে দিতে পারে। সরকারি সূত্রে খবর, বাম-কংগ্রেস শূন্য রাজ্য আইনসভা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। তাই বিধান পরিষদ গঠিত হলে, সেখানে জায়গা পেতে পারেন এই দুই দলের প্রতিনিধিরা। সংবিধান মতে, বিধান পরিষদ আদতে বিধানসভার উচ্চকক্ষ। যার গঠন সংসদের মতোই। উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা আর নিম্নকক্ষ লোকসভা। এখানেও সেই এক গঠন।
উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। এই রাজ্যে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদ কার্যকরী ছিল। তারপরে অবলুপ্তি ঘটে। ১৯৫২ সালের ৫ জুন ৫১ জন সদস্যকে নিয়ে বাংলাতেও বিধান পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ তার অবলুপ্তি ঘটে। তবে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও, বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সিলমোহর দরকার। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ঘুরে লোকসভা এবং রাজ্যসভা, সংসদের দু’কক্ষেই প্রস্তাবটি পাশ করাতে হবে। তার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর লাগবে। তবেই এ রাজ্যে রাজ্যে বিধান পরিষদ চালু হবে।
সেই থেকে শুধুমাত্র বিধানসভার মাধ্যমেই শাসনকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে রাজ্যে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিধান পরিষদ গঠনের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু কাজ এগোয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন