বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ডিএম-দের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সংক্রমণ পর্যালোচনায় এই বৈঠক। যদিও সেই বৈঠকে সৌজন্য দেখায়নি প্রধানমন্ত্রী। এমন অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলতে দেওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রীদের। এমন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ওটা করোনা পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। মুখ্যমন্ত্রীরা অতিথি হিসেবে ছিলেন। সব জায়গায় ভাষণ দেওয়া যায় না।যেহেতু ডিএম-দের নিয়ে বৈঠক, রাজ্য বলতেই পারে মুখ্যমন্ত্রীদের উপেক্ষা করা হয়েছে। তাই ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।‘ তাঁর কটাক্ষ, ‘এখন ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১০ মিনিট করে বললে এখানেই দেড় ঘণ্টা চলে যাবে। আর উনি তো যা বলার প্রেসের সামনে বলেছেন। যেটা উনি করতে চান, করতে পেরেছেন। উনার রাগ আসলে মন্ত্রিসভার সদস্যরা জেলে আছেন।‘
এদিকে, নারদ মামলা-কোভিড পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে একটি কথাও বলতে দেওয়া হয়নি মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনই অভিযোগ তুললেন মমতা।
কী কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
- কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো মানছেন না প্রধানমন্ত্রী। মিটিংয়ে ডেকে মুখ্যমন্ত্রীদের কথাই বলতে দিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোনও সৌজন্যতা নেই। চরম অসম্মানিত বোধ করছি।
- তিন কোটি টিকা দিতে বলেছিলাম। সে নিয়ে প্রশ্ন করার কথা ছিল। তার সুযোগই দেননি প্রধানমন্ত্রী। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছে সব ঠিক হ্যায়। তাহলে শবদেহগুলি ভেসে আসছে কোথা থেকে? কাউকে আর কথা বলতে দেওয়া হল না। সবার প্রতিবাদ করা উচিত।
- বাংলার এই অবস্থার কথা জানানোর সুযোগই দিলেন না। রাজ্যে টিকা ঘাটতি চলেছে, অক্সিজেন আমাদের রাজ্য থেকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রেমডেসেভির নেই। কেন্দ্রকে কে জানাব সেই সুযোগই দেওয়া হল না।
- এক তরফা অসম্মান করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির শাহেনশা সেজে বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীদের কাউকে বলতে দিলেন না। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কেউ কেউ বলেছেন ভিন রাজ্য থেকে। তাঁদের সুযোগ দিয়েছে।
- হাতে প্রশ্ন নিয়ে পুতুলের মতো বসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীদের যদি বলতেই দেবেন না তাহলে ডাকলেন কেন?
- প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা মানলে দেশে ভ্যাকসিন দিতে ১০ বছর লাগবে। বৈঠকে না হল কোনও রোডম্যাপ তৈরি না কিছু। একাই ভাষণ দিয়ে গেলেন।
- নারদা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ববি অনেক কাজ করে, জীবন বাজি রেখে ও প্রথম কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছিল রাজ্যে। সেই ববি, সুব্রতদাদের আটকে রেখেছে ওরা। আশা করি এর সঠিক বিচার হবে।’’