আদি বনাম নব্যের দ্বন্দ্ব বঙ্গ বিজয়ে বড় কাঁটা বিজেপির। গত মাসে সেই দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছায় যে প্রকাশ্যে হাতাহাতি, ইটবৃষ্টির মতো ঘটনায় হয় বর্ধমানে। কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সন্দীপ নন্দী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে শোকজ করে দলীয় নেতৃত্ব। এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল বঙ্গ বিজেপি। সন্দীপ নন্দীকে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে এলে অভিজিৎ তা। সন্দীপ নন্দীর অপসারণে খুশির হাওয়া আদি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
সন্দীপবাবু এই প্রসঙ্গে অস্বস্তি ঢেকে বলেছেন, নতুন জেলা সভাপতিকে অভিনন্দন। টেলিফোনে এই খবর পেয়েছি। রাঢ়বঙ্গ জোনের বুথ ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে। এদিকে, এই ঘটনায় নৈতিক জয় দেখছেন আদি বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। দলের ভাবমূর্তি যাতে ভোটের মুখে স্বচ্ছ থাকে তাই কুকর্মে যুক্ত বিজেপি নেতাদের নির্বাচনী প্রচারে না রাখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশেই সরানো হয়েছে সন্দীপ নন্দীকে।
গত ২১ জানুয়ারি বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটি এলাকায় বিজেপির ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে আসে। এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এমনকি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পূর্ব বর্ধমান জেলার নানা এলাকা থেকে বিক্ষুব্ধ বিজেপির কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের ক্ষোভ জেলা সভাপতি সন্দীপ-নন্দী সহ বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে। এবার তাঁকে পদ থেকেই সরিয়ে দিল দল।