Advertisment

‘দলবিরোধী মন্তব্য’, সায়ন্তন বসু সহ তিন নেতাকে শোকজ রাজ্য বিজেপির

জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগ নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় অগ্নিমিত্রা পালও সরব ছিলেন। তবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। এই কারণে দলের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু-সহ তিন নেতাকে শোকজ করল বিজেপির রাজ্য কমিটি। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি গ্রহণ করা হবে না তা সাত দিনের মধ্যে চিঠিতে জানাতে বলা হয়েছে।

Advertisment

এক সপ্তাহ আগেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে পুর প্রশাসক ও দল থেকে ইস্তফা দেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি গেরুয়া শিবিরে আসছেন বলে জোর জল্পনা তৈরি হয়। যদিও পরে দলের সঙ্গে জিতেন্দ্রর সমস্যা মিটে গেলে তৃণমূলেই থেকে যান তিনি। কিন্তু তার মাঝেই জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসেন সায়ন্তন বসু। জিতেন্দ্র তিওয়ারি যাতে বিজেপিকে যোগ না দিতে পারেন তার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। দলের অবস্থান বিরোধী কথা সংবাদ মাধ্যমে বলার কারণেই সায়ন্তন বসুকে শোকজ বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়ও ভিডিওতে প্রবল আপত্তি জানান। বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও সরব ছিলেন। তবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল।

পাশাপাশি ‘দলবিরোধী’ বিরোধী মন্তব্যের কারণে শোকজ করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকেও। অমিত শাহর সভায় আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে, আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত ও দলের জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি বাপ্পা মজুমদার। এঁদের যোগদান প্রসঙ্গে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বলেছিলেন, 'এখন জেলায় দলে কোনও পদ খালি নেই। এঁদের পদ দেওয়া যাবে না।' এই মন্তব্য নিয়েই রাজ্য বিজেপির তরফে শোকজ করে জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতিকে।

এছাড়াও দল বিরোধী স্লোগানের পিছনে নাম জড়ানোয় নাগরাকাটার মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতিকে শোকজ করেছে রাজ্য বিজেপি। নাগরাকাটার বিধায়ক শুকরা মুণ্ডা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেখানে বিজেপির আদি-নব্য বিরোধ সামনে চলে আসে। তারপরই দলবিরোধী স্লোগান ওঠে।

বহরে বৃদ্ধির সঙ্গেই বিজেপির অন্দরে বেড়েছে গোষ্ঠী রাজনীতি। দলের রাজ্য শাখায় দিলীপ-মুকুল গোষ্ঠীর বিরোধ সবার জানা। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ট বলেই যিনি পরিচিত) সায়ন্তন বসুকে শোকজ আসলে গেরুয়া নেতৃত্বর একাংশকেই বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

dilip ghosh bjp
Advertisment