লোকসভার ধাক্কা সামলে তিনে তিন তৃণমূল। শক্তি খুইয়েছে গেরুয়া ঝড়। রাজ্য সভাপতির খাসতালুক খড়গপুরে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। ছ'মাস আগে যে কেন্দ্রে বিরাট ব্যবধানে পাপড়ি মেলেছিল পদ্ম, সেই কেন্দ্রেও হাতছাড়া। কয়েক মাসেই কেন এমন হল? শুধুই কী দায়ী এনআরসি ইস্যু?
কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?
প্রথম দিকে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুরে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু বেলা যত বেড়েছে দিল্লিতে বসে হতাশ হয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'কর্মীরা উপনির্বাচন বলে মরিয়া হয়ে খাটেনি। লোকসভার ফলাফল দেখে ভেবেছিল এমনিই জিতে যাব। ফলাফল যা হওয়ার তাই হল। শাসক দলও প্রসানকে কাজে লাগিয়েছে কিছুটা। খড়গপুরে ভোট কমেছে ১৬-র বিধানসভার নিরিখে।' দিলীপবাবুর দাবি কালিয়াগঞ্জ গেরুয়া শিবিরের দখলে ছিল না। সেখানে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছে দল। বিষয়টিকে খুব বড় করে দেখার মানে হয় না। তিনি বলেন, 'ওই আসন আমাদের ছিল না। তাও হেরে গিয়েছি। ২১শে ফের লড়াই করতে হবে।' তবে তৃণমূলের প্রচারের বিরুদ্ধে ঝড় তুলে এনআরসি ইস্যু মানুষকে আরও বোঝাতে হবে বলে মনে করেন তিনি। বাম কংগ্রেস জোট কার্যত প্রভাবহীন বলে কটাক্ষ করেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
আরও পড়ুন: বিজেপির ঔদ্ধত্যের রাজনীতি পরাজিত হয়েছে: ‘বিজয়িনী’ মমতা
খড়গপুরে হার, উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই দল পরাজিত। ভোট কমেছে সব জায়গায়। এই অবস্থায় দলের রাজ্য সভাপতির নেতৃত্ব নিয়ে তো প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক? উত্তর দিতে গিয়ে রীতি মত ঢোক গিলতে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁর কথায়, 'প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু, আমি বিধানসভা ও লোকসভায় জিতে দেখিয়ে দিয়েছি। তৃণমূল যে আসন কোনওদিনও জিতেনি সেটা দখল করেছে। এবার তাদের ধরে রাখতে হবে। দেখা যাক।'
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল। তাহলে কী ২১শে সাফ করা যাবে জোড়াফুলকে? নিজস্ব ঢঙে দিলীপ ঘোষের জবাব '২১শে তৃণমূল ফিনিশ'।
ফল খারাপ হয়েছে। মেলেনি একটিও আসন। বৃহস্পতিবার বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের অফিসও ছিল ফাঁকা। সকাল গড়িয়ে যত দুপুর, বিকেল হয়েছে, পার্টি অফিস ততই খাঁ খাঁ করেছে। হয়নি কোনও সাংবাদিক বৈঠকও। হারের জ্বালায় ন্যুব্জ গেরুয়া শিবিরের রাজ্য নেতৃত্ব, কর্মীরা।