করোনা আতঙ্কের জেরে পিছিয়ে যেতে পারে বাংলার পুরভোটের দিনক্ষণ।
পুরভোট মানেই প্রচার, জমায়েত, মিটিং, মিছিল, পথসভা একাধিক জনবহুল কর্মকাণ্ড। কিন্তু, মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জমায়েত, ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। তাই ভোট পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, 'করোনাভাইরাসের প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে তাতে ভোট কবে হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। একবার ভোটের দিন ঘোষণা হলেই প্রচার, জমায়েত হবে। যা বর্তমানে একেবারেই উচিত নয়।'
ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত রয়েছে সব স্পোটিং ইভেন্ট। শুক্রবারই নবান্নে করোনা মোকাবিলা বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩১ মার্চ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পরই ভোট কবে হবে তা বোঝা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা কাঁপুনির দোসর সোয়াইন ফ্লু, রাজ্যে আক্রান্ত ২২
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মে মাসের শেষ সপ্তাহ বা জুন মাসে পুরভোট হতে পারে। রমজান মাসে ভোটে রাজি নয় মমতা সরকার। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রমজান মাস শেষ হবে। পরিস্থিতি স্বাভিক না হলে তাই পুরভোটও অনিশ্চিত।
এপ্রিলেই পুরভোট হবে বলে জানা গিয়েছিল। রাজ্য সরকারেরও তাতে সায় ছিল। ইতিমধ্যেই এপ্রিলে কলকাতা ও হাওড়ার পুরনিগমের ভোট করার সুপারিশ করে নবান্ন। যদিও, প্রচারে বাড়তি সময়ের দাবি তুলে পুরভোট পিছনের আবেদন আগেই করেছিল বিজেপি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও বিরোধীদের মতামত নিয়ে পুরভোট করার কথা বলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কমিশনের ডাকে পুরভোট নিয়ে রয়েছে সর্বদল বৈঠক। নিয়ম অনুশারে, বিজ্ঞপ্তি জারি থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ২৫ দিনের ব্যবধান থাকে।
তবে, করোনা আতঙ্ক জারি থাকলে পুরভোটের দিনক্ষণ আপাতত অনিশ্চিত। তবে এতে, অসুবিধান কিছু নেই বলে মনে করেন রাজ্য বিজেপি সবাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'করোনার জন্য প্রয়োজনে ভোটের দিন পিছিয়ে গেলে অসুবিধার কিছু নেই।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন