রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের সরব হলেন রাজ্যপাল। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান জগদীপ ধনখড়। পরে দফতর বণ্টন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান শেষেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। উদ্বেগের সুরে তিনি বলেছেন, ‘হিংসাদীর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যাবেন।‘ রাজ্যপালের অভিযোগ, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা থামাতে মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্যদের বললেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। রিপোর্ট পাঠায়নি ডিজি-স্বরাষ্ট্র সচিব।‘ তাঁর আক্ষেপ, ‘ভোটদানের অধিকার অক্ষুন্ন রেখে প্রাণ দিতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে।‘
তাঁর মন্তব্য, ‘আপনাদের ভোট যদি মৃত্যু, সম্পত্তিহানি এবং নৈরাজ্যের কারণ হয়, তাহলে বুঝতে হবে গণতন্ত্র শেষের দিকে।‘ এদিকে, ভোট পরবর্তী বাংলায় সন্ত্রাস নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা মমতা প্রশাসন নীরব দর্শক শুক্রবার এমন অভিযোগই করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসীরা, দাঙ্গাকারীদের থামাতে পুলিশ কোনও উদ্যোগ নেয়নি, এমন মন্তব্য করে পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকেই দুষেছে আরএসএস।
একুশের ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জারি রয়েছে অশান্তি। উঠে আসছে নানা হিংসার ঘটনা। এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে আরএসএস। ‘রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা দরকার’, এমন কথাও জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত বাংলায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে হিংসাত্মক ঘটনায়। আরএসএস-এর তরফে বলা হয়েছে, “নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরপরই এমন হিংসার ঘটনা নিন্দনীয় এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে হচ্ছে। বঙ্গ প্রশাসন নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে। হিংসার ঘটনা থামাতে রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসনের কোনও উদ্যোগও নেই।”
সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে বলেন, ‘শাসন ক্ষমতায় যারা রয়েছেন তাদের প্রথম দায়িত্ব হল সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা,সন্ত্রাস যারা চালাচ্ছে তাদের কড়া হাতে দমন করা। নির্বাচনে জয়ের বিষয়টি দলীয় রাজনীতির বিষয় কিন্তু নির্বাচিত সরকারের সমস্ত সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হওয়া দরকার। অমানবিক সন্ত্রাস চলছে, অথচ রাজ্য সরকার নিরব।’