কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিককে খুনের ঘটনাকে হাতিয়ার করে আরও কোমর বেঁধে মাঠে নামছে তৃণমূল। কুলগামে বাঙালি শ্রমিকদের হত্যার প্রতিবাদে এবার পথে নামছে তৃণমূল। আজ, সোমবার বিকেলে কলকাতার রাজপথে মোমবাতি মিছিলের ডাক দিল যুব তৃণমূল। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাশ্মীরে যেভাবে বাংলার ৫ জন শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুধু ধিক্কারই নয়, নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা। এ ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই দাবিকে সামনে রেখে আগামী ৪ তারিখ বিকেল ৫টায় বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করা হবে’’।
আরও পড়ুন: ‘৫৬ ইঞ্চি ছাতি রেখে কী লাভ! দেশবাসীই তো সুরক্ষিত নয়’
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে বাঙালি শ্রমিকদের খুনের ঘটনায় ‘কড়া তদন্তে’র দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, ‘‘এ ঘটনার তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা হোক’’। পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘সারা দেশে যেভাবে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। কাউকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, কাউকে গুলি করে মারা হচ্ছে। খুব উদ্বেগের বিষয় এটা। কাশ্মীরে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কেন সুরক্ষা দেওয়া হবে না?’’ এদিকে, এ ঘটনায় মন্তব্য করে বিতর্ক বাধিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান কাশ্মীরে মারা গেলে সে বাঙালি, কিন্তু রাজস্থান বা গুজরাতে মারা গেলে সে মুসলমান!…কার স্বার্থে এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলি?’’ দিলীপের এই মন্তব্যের পাল্টা মমতা বলেন, ‘‘এক বিজেপি নেতা বলছেন, ওঁরা (নিহত ৫ শ্রমিক) বাঙালি নন। যখন গুজরাতের কেউ মারা যান, তখন কি আমরা তাঁদের গুজরাতি বলি না? তাহলে বাংলার লোকেদের বাঙালি বলতে এত লজ্জা কেন?’’