কাশ্মীরের কুলগামে ৫ বাঙালি শ্রমিকের খুনের ঘটনা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এ ঘটনাকে সামনে রেখে মোদীবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়াল তৃণমূল। কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তুলল মমতা বাহিনী। কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নীরব, এ প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মোদীকে বিঁধে ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘‘৫৬ ইঞ্চি ছাতি রেখে কী হবে, দেশের নাগরিকদে তো রক্ষাই করতে পারছে না কেন্দ্র সরকার’’।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম?
এ প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘‘দেশের নাগরিকদের খুন করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নীরব। উপত্যকায় ৩৭০ ধারা বাতিল করে কী হল, সেই তো এত লোক মারা যাচ্ছেন। এর মানে, উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি’’।এরপরই মোদীকে বিঁধে ফিরহাদ বলেন, ‘‘৫৬ ইঞ্চি-৭২ ইঞ্চি ছাতি রেখে কী লাভ! দেশের নাগরিকদেরই তো রক্ষা করতে পারছে না কেন্দ্র সরকার’’।
আরও পড়ুন: রাজস্থান-গুজরাটে মারা গেলে মুসলমান, আর কাশ্মীরে হলে বাঙালি: দিলীপ ঘোষ
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে বাঙালি শ্রমিকদের খুনের ঘটনায় ‘কড়া তদন্তে’র দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, ‘‘এ ঘটনার তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা হোক’’। পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘সারা দেশে যেভাবে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। কাউকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, কাউকে গুলি করে মারা হচ্ছে। খুব উদ্বেগের বিষয় এটা। কাশ্মীরে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কেন সুরক্ষা দেওয়া হবে না?’’ এদিকে, এ ঘটনায় মন্তব্য করে বিতর্ক বাধিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান কাশ্মীরে মারা গেলে সে বাঙালি, কিন্তু রাজস্থান বা গুজরাতে মারা গেলে সে মুসলমান!…কার স্বার্থে এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলি?’’ দিলীপের এই মন্তব্যের পাল্টা মমতা বলেন, ‘‘এক বিজেপি নেতা বলছেন, ওঁরা (নিহত ৫ শ্রমিক) বাঙালি নন। যখন গুজরাতের কেউ মারা যান, তখন কি আমরা তাঁদের গুজরাতি বলি না? তাহলে বাংলার লোকেদের বাঙালি বলতে এত লজ্জা কেন?’’
এদিকে, মমতাকে বিঁধে দিলীপ পাল্টা বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এথানেও মানুষকে খুন করা হচ্ছে। তাঁরা বাঙালি নন?’’
Read the full story in English