রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ডান-বাম দুই পক্ষই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দুই যুযুধান পক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে। ১ জুন আনলক ওয়ান শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন খুন হয়েছেন। এই তালিকায় বিজেপির রয়েছে ৬ জন, তৃণমূলের ৫ জন ও এসইউসিআই-র ১জন। সংঘর্ষ ছাড়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও খুনের অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি এক বিধায়ক সহ ৪ জন বিজেপি কর্মীর গলায় ফাঁস অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ওই চারজনও আত্মহত্যা করেনি, তাঁদেরও খুন করা হয়েছে।
১০ জুন- বর্ধমান শহরের তৃণমূল কর্মী গৌতম দাসকে পিটিয়ে খুন করা হয়।
১৮ জুন- পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপি কর্মী পবন জানা সংঘর্ষে জখম হন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
৩ জুলাই- দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্নাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগের তির এসইউসির দিকে।
৪ জুলাই- কুলতলিতে এসইউসির জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুধাংশু জানাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ তৃণমূলের দিকে।
৫ জুলাই- নদিয়ার নবদ্বীপে বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ দেবনাথকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ বিজেপির।
১৬ জুলাই- নদিয়ার বিজেপি কর্মী বাপি ঘোষকেও পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ।
৬ অগাষ্ট- হুগলির আরামবাগে তৃণমূল কর্মী ইসরায়েলকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তৃণমূলের অন্তর্কলহে এই ঘটনা বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
১৫ অগাষ্ট- বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় খানাখুলের বিজেপি কর্মী সুদর্শন প্রামানিকের।
৬ সেপ্টেম্বর- পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ১০০ দিনের কাজের সময় খুন হয় বিজেপি কর্মী রবীন পাল। অভিযোগ তৃণমূলের দিকে।
১৭ সেপ্টেম্বর- কোচবিহারর তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
১৭ সেপ্টেম্বর- পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শেখ নাসিমের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে সেখানে নাবালক শেখ মাজাহারেরও মৃত্যু হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর- পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজপি কর্মী দীপক মণ্ডলকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
জুলাইয়ে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বাজারের মধ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গৌতম পাত্র, পূর্ব মেদিনীপুরের পূর্ণচন্দ্র দাস ও হুগলির গণেশ দাস ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ এই চারজনকেই তৃণমূল খুন করেছে। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, অযথা আত্মহত্যাকে খুন বলে প্রচার করে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর কোচবিহারের বিজেপি কর্মী সম্বারু বর্মনের মৃতদেহ রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করেছে।
লকউনের পর অনলক ওয়ান শুরু হতেই রাজ্যে নানা জায়গায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ভার্চুয়াল প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমেই আন্দোলন শুরু করে দেয় দলগুলি। লকডাউন আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাজ্যব্যাপী মিছিল, সভা, সমাবেশ করতে থাকে শাসক ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করে দেয় তৃণমূল, বিজেপি সহ অন্যরা। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। মুখে সামাজিক দূরত্বের কথা বললেও থোরাই কেয়ার করে চলতে থাকে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি।
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজেপির মুখ কে? ঘোষণা মুকুল রায়ের
তৃণমূল মনে করছে বিজেপি উসকানি দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে রাজ্যে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "স্থানীয় ইস্যুতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটছে। তাতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সিপিএমের সময় পরিকল্পনা করে খুন করা হত। বিজেপি উসকানি মূলক বক্তব্য রাখছে। ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে বিজেপি নেতারা।"
২০২১ বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করে বাংলা জয়ের এর থেকে বড় সুযোগ আর হয়ত আসবে না। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, "নির্বাচনের আগে আতঙ্ক ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই খুন করছে ও অশান্তি পাকাচ্ছে। অন্য়দিকে নিজেদের গন্ডগোলেই খুন হচ্ছে তৃণমূল কর্মী। আমরা তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দিতে পারি। কিন্তু আমরা সে পথে যাচ্ছি না।"
আরও পড়ুন- “অতীত ভুললে ভবিষ্যৎ অন্ধকার”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এরাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, "রাজনতিক অশান্তির শুরু ৬০-র দশকে। বামফ্রণ্ট ও তৃণমূলের আমলে রাজনৈতিক অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের সময় তা সংঘটিত রূপ পেয়েছে। এখন রাজনীতি ও হিংসা পরিপূরক হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে হিংসা ছাড়া নির্বাচন আকাশকুসুম কল্পনা ছাড়া কিছুই না।"
২০১৯ লোকসভার নির্বাচনে ১৮ টি আসনে জয় পায় গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহল ছাড়া দক্ষিণ বঙ্গের বেশ কিছু জেলায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি ঘটিয়েছে পদ্মশিবির। রাজনৈতিক খুন হওয়া ১২ জনের মধ্যে ৫জনের বাড়িতে গিয়েছিল দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধিরা। হুগলি ও দক্ষিন ২৪ পরগনার চার জায়গায় ও পশ্চিমমদিনীপুরর দাঁতনে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়।
হুগলি
খানাকুলে বাঁক নেওয়া মুন্ডেশ্বরী নদীর দুদুটো বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে পৌছানো গেল মৃত সুদর্শন প্রামানিকের(৪০) বাড়িতে। রাজমিস্ত্রির যোগারের কাজ করা সুদর্শন গত দেড় বছর ধরে বিজেপি করত। নতিবপুরের এক চিলতে ঘরে বসে সুদর্শনের স্ত্রী মামনি প্রামানিক বলেন, "পাশের গ্রামে স্বাধীনতার পতাকা তুলতে গিয়েছিল। সেই সময় পিছন থেকে আমার স্বামীর ঘাড়ে ধারল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। আর সে বাড়ি ফিরল না। দোষীরা এখনও ধরা পড়েনি। ওই ঘটনার পর পুলিশও আমাদের বাড়িতে আসেনি।" মামনির কথায়, "পুলিশের ওপর কোনও ভরসা নেই। আক্রমণের ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন মামনিরা। সুদর্শনের মেয়ে সুপ্রিয়া প্রামানিক নন্দনপুরে মামার বাড়িতে থাকে। ছোট ছেলে সঞ্জয় প্রামানিকের অসহায় চোখ যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে বাবাকে। এই বাড়িতেই থাকেন তার বৃদ্ধা মা নুপুর প্রামানিক।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে খানাকুল বিধনসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ৪৩,৪৮৭ ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে পরাজিত করে। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার মাত্র ১,১৪২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়।
খানাকুলের পাশেই আরামবাগের ঘোলতাজপুরে তৃণমূল কর্মী ইসরায়েল খান(৩৮)-এর বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়। ইসরায়েলের ভাই ইসমাইল বলেন, "৬ অগাষ্ট সকাল সাড়ে দশটার সময় তৃণমূলের এক গোষ্ঠী বোমা, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। তখন অনুষ্ঠান বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই দাদার মৃত্যু হয়। টার্গেট করেই খুন করা হয়েছে। আশেপাশের বাড়িও ভাঙচুর করা করেছে।" ঘটনার বেশ কিছু দিন পরও দেখা গেল বোমা ও গুলির চিহ্ন রয়েছে সেখানে। ইসরায়েলের স্ত্রী ও দুই সন্তান অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটছে।
পুলিশ জানিয়েছে, খানাখুলের ঘটনায় ৬ জন ও আরামবাগের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হুগলি(গ্রামীণ)-র পুলিশ সুপার তথাগত বসুকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে খানাকুলে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬,৪৫৭ ভোটের ব্যবধানে সিপিএম প্রার্থীকে পরাজিত করে। ২০১৯ লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই বিধানসভায় সিপিএমকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী বিজেপির প্রার্থীর থেকে ওই বিধানসভায় লিড নেয় ৪,০০৭ ভোট।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা
কুলতলির মৈপিঠে ৩ জুলাই তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্না(৬৫) এসইউসিআইর আক্রমণে খুন হন বলে অভিযোগ। পরদিন পাল্টা এসইউসি নেতা সুধাংশু মান্নাকে(৭০) মেরে বাড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছাড়া সুধাংশু মান্নার স্ত্রী গীতা দেবী। এখন থাকেন জয়নগরে মেয়ে সুজাতার বাড়িতে। জয়নগরে এসইউসির দলীয় কার্যলয়ে বসে স্কুল শিক্ষিকা সুজাতা বলেন, "বাবা ঘটনার সময়ও আমাকে ফোন করেছিল। কিন্তু তখনও বলেনি যে বাড়িতে আক্রমণ করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃীতারা। আমরা এই খুনের বিচার চাই।" হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন সুধাংশুবাবু। গীতা দেবী বলেন, "তৃণমূল বাড়িতে হামলা করে। আমাকে একটা ঘরে আটকে রাখে। আমার স্বামীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেয়। তারপর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।"
ঘটনার পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অশ্বিনী মান্নার বাড়িতে যায়নি বলেই জানায় তাঁর বড় ছেলে হারাধন। হারাধনের কথায়, "সেদিন অন্য একটি বাইকে আমি ছিলাম। বাবা ছিলেন আরেকটি বাইকে। গুলির শব্দের পর বাবা বাইক থেকে পড়ে গিয়েছিল। তখন পিটিয়ে মেরে ফেলে।" এফআইআর তালিকায় রয়েছে তৃণমূল নেতা বুদ্ধিশ্বর নস্করের নাম। হারাধনের অভিযোগ, "এই বুদ্ধিশ্বর অন্যতম অভিযুক্ত। সে এখনও ঘুরে বেরাচ্ছে। পুলিশ গ্রেফতার করছে না। সে ২০১৬ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি হারাধনের।" এদিকে অভিযুক্ত বুদ্ধিশ্বর বলেন, "আমি গত ২০ বছর ধরে তৃণমূল করছি। অশ্বিন্নী মান্নার পরিবার সবে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছে। আগে সিপিএম করত।" তবে ২০১৬ নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য মান্না পরিবার যে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল তা জানিয়েছেন হারাধন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কুলতলি বিধানসভায় ২০১৬ নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী ১১,৭২০ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে দেয়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপির থেকে ৮,৪৪৯ ভোটে এগিয়ে ছিল।
পশ্চিম মেদিনীপুর
লকডাউন ঘোষণার পর মুম্বাই থেকে বাড়ি ফিরেছিল বিজেপি কর্মী অজয় জানার ছেলে পবন জানা(২৩)। প্রধানমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে বাবার সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলেন প্রচার করতে। অভিযোগ তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে পবনকে। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অজয় বাবু বলেন, "আগে সিপিআই করতাম। ২০১৪-তে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। সেদিন আমরা গৃহ সম্পর্ক অভিযান করছিলাম। তখনই আক্রমণ করে তৃণমূল। আমাকে বাঁচাতে গেলে ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে। অপরাধীরা সব ঘুরে বেরাচ্ছে।"
২০১৬ বিধানসভা নিরাবাচনে দাঁতন কেন্দ্রে তৃণমূল করংগ্রেস ২৯,২৬০ ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে পরাজিত করে। পাশা উল্টে যায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ লিড পায় ৬,৬৮৯টি ভোট।
বিজেপি জেলা সভাপতি সমিত কুমার দাস বলেন, "আমাদের কর্মীদের ওপর তৃণমূল আক্রমণ করছে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আনলক ওয়ানে ১৮টা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এই জেলায়।" তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, "অযথা তৃণমূলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে বিজেপি।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন