মমতার ঝাঁঝালো আক্রমণে একুশের লড়াইয়ে আখেরে লাভ হচ্ছে বিজেপির!

বাংলায় বিজেপিকে রুখতে যেভাবে একের পর এক আক্রমণের তির ছুড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, তাতে আদতে আখেরে লাভ হচ্ছে পদ্মশিবিরেরই।

বাংলায় বিজেপিকে রুখতে যেভাবে একের পর এক আক্রমণের তির ছুড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, তাতে আদতে আখেরে লাভ হচ্ছে পদ্মশিবিরেরই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বিজেপি, তৃণমূল, bjp, tmc

রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।

হাতে এখনও কয়েক মাস বাকি, তার আগেই বাংলায় রীতিমতো ভোটের দামামা বেজেছে। একুশের মহারণের দিন যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াই-ই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দুই যুযুধান শিবির। এই প্রেক্ষিতে মমতা সরকারকে ‘উপড়ে ফেলে’ বাংলার বুকে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। অন্য়দিকে, গেরুয়া ঝড়কে রুখে কুর্সি ধরে রাখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মমতা বাহিনীও।

Advertisment

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, যত ভোটের দিন এগোবে, ততই তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ে সরগরম হবে বঙ্গভূমি। রোজই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন দু’দলের নেতারা। এই প্রেক্ষিতে কৌশলে পা ফেলছে বিজেপি। বাংলায় বিজেপিকে রুখতে যেভাবে একের পর এক আক্রমণের তির ছুড়ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, তাতে আদতে আখেরে লাভ হচ্ছে পদ্মশিবিরেরই। বাংলায় তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে অন্য় দুই বিরোধী দল বাম ও কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়ে বিজেপিই যে অন্য়তম প্রধান চ্য়ালেঞ্জার, তাই কার্যত স্পষ্ট হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ১৮টি আসনে পদ্মফুল ফোটার পরই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে, একুশের মেগা ম্য়াচে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই। উনিশের নির্বাচনে বাংলার বুকে বিজেপির অভাবনীয় উত্থানের পরই গেরুয়াবাহিনীকে রুখতে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূল।

Advertisment

আরও পড়ুন: কৈলাস অনুগামীদের কাণ্ড: ইন্দোরের রাস্তায় মমতার পোস্টার, তার উপর দিয়েই চলছে মানুষ-গাড়ি

সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে তৃণমূল বনাম বিজেপি বাগযুদ্ধের সুর আরও চড়েছে। কনভয় হামলা ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর যেমন চলছে, তেমনই রাজ্য়-কেন্দ্র সংঘাতও তুঙ্গে। ওই হামলায় কেন্দ্র সরকার কড়া পদক্ষেপ করুক, এমনটাই চায় বিজেপি।

অন্য়দিকে, নাড্ডার কনভয় হামলার পর রাজ্য়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি আরও জোরালো করেছে পদ্মশিবির। কিন্তু, বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি হলে, আখেরে লাভ হতে পারে মমতা শিবিরেরই। আর সে কারণেই এই কড়া পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকছে গেরুয়াশিবির।

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘‘এটা নৈরাজ্য় চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে শাসক দল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির উপযুক্ত সময়। যতই হামলা চালানো হোক না কেন, আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। নাড্ডার পর অমিত শাহ আসছেন, এতে কর্মীরা আরও মনোবল পাবেন’’।

তবে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে বিজেপির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা এক ব্য়ক্তির কথায়, ‘‘এটা জারি হলে হইচই ফেলে দেবেন মুখ্য়মন্ত্রী। উনি সহানুভূতি পেয়ে যাবেন। ফলে আপাতত সেই কঠোর পদক্ষেপ চাইছে না বিজেপি’’।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp