সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনিও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। এদিন করোনা প্রোটোকল মেনে রাজভবনের বাইরেই বিজেপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল। কী কী বললেন শুভেন্দু?
- রাজ্যে মহিলা সাংসদ হেনস্থা হচ্ছেন, খলিস্তানি জঙ্গিদের এনকাউন্টার হচ্ছে
- দলত্যাগ বিরোধী আইন এই রাজ্যে কার্যকর করব, তৃণমূল ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল
- রাজ্যে বিজেপির ভোট বাড়ার জন্য মোদীর কৃতিত্ব
- কয়েক হাজার কর্মী ঘরছাড়া, রাজ্যপালকে সব জানিয়েছি
- রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি, আশা করি বিচার পাব
এদিকে, এদিন ভোট পরবর্তী বাংলায় বেড়ে চলা হিংসার ঘটনা-সহ রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবগত করাতে বিধানসভা থেকে পায়ে হেঁটে ভারতীয় জনতা পার্টির ৫০ জন বিধায়কের সাথে রাজভবনে রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিরোধী দলনেতা মাননীয় শ্রী শুভেন্দু অধিকারী মহাশয়। সোমবারই আবার ত্রিপল চুরি মামলায় অস্বস্তি বাড়লো রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরি মামলায় এফআইআর খারিজ ও তদন্তে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারী। তবে, সেই আবেদনে সোমবার সাড়া দিল না আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ জুন।
কাঁথি পুরসভার গুদাম থেকে লক্ষাধিক টাকার ত্রাণের ত্রিপল চুরির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারী। পুরসভার পক্ষ থেকে কাঁথি থানায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে থানায় এইআইআর করা হয়। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই গত ২৯ মে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পুরসভার গুদামে একটি ছোট লরিতে করে ৪-৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ান এসে ত্রাণের জন্য রাখা প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রিপল লুঠ করে পায়িয়েছে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সব রকম ভাবে সাহায্য করেন পুরসভার ২ কর্মচারী, হিমাংশু মান্না এবং প্রতাপ দে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন