আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে কোনও বাধা নেই। স্পষ্ট জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। এরই পাশাপাশি এই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করেছে উচ্চ আদালত। ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তির কয়েকটি অংশে আপত্তি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার ভবানীপুর ভোট মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শেষমেশ মঙ্গলবার মামলার রায়দান আদালতের। এদিন নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজ। ভবানীপুর ভোট মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, বছে বেছে ভবানীপুরেই উপনির্বাচনের দিন ঘোষণায় কমিশনের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে বিজেপি। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এরপর মামলা দায়ের হয়। অন্য চার কেন্দ্রে নির্বাচন না করিয়ে শুধুমাত্র ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন? জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চায় আদালত। কমিশনের জমা দেওয়া হলফনামায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত।
ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দাবিতে বারবার সরব হয় রাজ্য সরকার। শেষমেশ মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনে ভবানীপুরের ভোট করানো নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। ভবানীপুরের ভোট দ্রুত না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যসচিব। এরপরই ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনও নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে সাংবিধানিক সঙ্কটের তত্ত্ব তুলে ধরে।
আরও পড়ুন- পুজো মিটলেই ফের ভোট, বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন ৩০ অক্টোবর
খোদ নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্যে প্রশ্ন ওঠে। বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ তালে গেরুয়া শিবির। পরবর্তী সময়ে ভবানীপুরে ভোট নিয়ে হাইেকোর্টে মামলা হয়। গত শুক্রবার মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। শেষমেশ আজ হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন