নানা বিতর্কের মাঝেও স্বমেজাজে ভাঙড়ে ঢুকলেন আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ের বেতাজ বাদশার মাথায় উঠল ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির মুকুট।
মঙ্গলবার ভাঙড় ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয় ।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ সংরক্ষণের আওতাধীন হওয়ার জন্য। সর্ব সম্মত ক্রমে ভাঙড় ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নির্বাচিত হলেন ভাঙড়ে 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলাম। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন আরাবুল ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ মন্ডল।
এদিন পঞ্চায়েত সমিতির গঠনকে কেন্দ্র করে আরাবুলকে ঘিরে তার অনুগামীদের ভিড় উপচে পড়ে। একেবারে রাজকীয় সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে আরাবুল ইসলামকে বরণ করে নেন কর্মী সমর্থকরা। চলে আবীর খেলা, মিষ্টি বিতরণ। দীর্ঘদিন পরে আরাবুল ভাঙড় ফিরতেই চওড়া হাসি দেখা যায় তাঁর মুখে। অনুগামীরা বাঁধন হারা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। ব্লক অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে কর্মী সমর্থকরা ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে।
আদালতের বিশেষ নির্দেশ নিয়ে ভাঙড়ে প্রবেশ করেছিলেন আরাবুল (ফোটো- ফিরোজ আহমেদ)
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে একটি খুনের ঘটনায় আরাবুলের নাম জড়াতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরেও পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় বিপুল ভোটে আরাবুল ইসলাম পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়ী হন। এর দীর্ঘ কয়েক মাস পরে শর্ত সাপেক্ষ আরাবুল জামিন পান।
আদালতের নির্দেশ মতন ভাঙড়, কাশীপুর এবং রাজারহাট এলাকায় তাঁর প্রবেশ নিষেধ ছিল। এদিন আরাবুল আদালত থেকে বিশেষ নির্দেশ নিয়ে ভাঙড়ে ঢুকে পঞ্চায়েত সমিতিতে শপথ নেন ।এদিন আরাবুল ইসলাম শপথ নিয়ে বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, "আজ দীর্ঘ চার মাস পর ভাঙড়ে ঢুকলাম।মানুষের আবেগ ভালো বাসা বুঝিয়ে দিয়েছে আরাবুল ইসলাম কে মানুষ ভোলেনি। ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আবারও পঞ্চায়েত সমিতিতে সর্বৈব সমর্থনের মধ্য দিয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছি।" তিনি আরো বলেন, "আরাবুল জেল খাটার পর অনেকেই ভাবতে পারে আরাবুল অন্য দিকে যাচ্ছে কিন্তু আজ প্রমাণ হয়ে গেল আরাবুল মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে মেনে সর্বদা কাজ করছে এবং করবে।"