Bharat Bandh, Central Trade Unions Call for 2-Day Strike Nationwide: ৮ এবং ৯ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে “কেন্দ্রের শ্রমিক-বিরোধী নীতির” প্রতিবাদে বারো দফা দাবিতে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ঘোষিত হয়। বাম-সমর্থিত সংগঠনগুলির পাশাপাশি ধর্মঘটে শামিল হয়েছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-ও। বস্তুত সংঘ পরিবারের ভারতীয় মজদুর সংঘ বাদে দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও কর্মচারী ফেডারেশন এই ধর্মঘট সমর্থন করছে।
গতকাল ধর্মঘটের ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে ওড়িশা ও কেরালার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, এবং যথেষ্ট প্রভাব পড়ে মহারাষ্ট্রেও। মুম্বইতে সরকারি সংস্থা 'বেস্ট'-এর কর্মীরা ধর্মঘটে সামিল হন, যার ফলে সরকারি বাস চলে নি শহরে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয় কর্ণাটক, ত্রিপুরা, এবং আসাম।
পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ভালো সাড়া মেলে বনধের, গ্রেফতার হন অজস্র বাম নেতা কর্মী। কিন্তু কিছু বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা বাদ দিলে বনধ ছিল মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ। আজ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, কোনোভাবেই বনধ চলতে দেওয়া হবে না। পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাম সংগঠনগুলির বক্তব্য, বনধ হবেই। সারাদিনে কী হবে, জানতে চোখ রাখুন আমাদের লাইভে।
10.20 pm: সন্ধ্যাবেলা গড়িয়াহাট মোড়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের পথসভা দিয়ে কার্যত সমাপ্ত হলো দুদিনের দেশব্যাপী শিল্প ধর্মঘট। লাভক্ষতির হিসেব কাল কষতে বসবে দেশ।
2.20 pm: পুল কারের ওপর হামলা করার আগে আরও একটি গাড়ি ভাঙচুর করে বনধ সমর্থকরা, জানান গাড়ির চালক শম্ভুলাল শ্রীবাস্তব।
আজ দুপুরে রাজাবাজার জামা মসজিদ এলাকায় পুল কারের ওপর হামলা করলো বনধ সমর্থকরা, গাড়িতে শিশুরা রয়েছে জেনেও। আতঙ্কের সেই মুহূর্তের কথা জানালেন গাড়ির চালক। #BharatBandh #WorkersStrike pic.twitter.com/iiNNbFOc9C
— IE Bangla (@ieBangla) January 9, 2019
2.10 pm: সূত্রের আরো খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় প্রায় ৪০ জন ছিল। একটি শিশুর চোখের নিচে আঘাত লাগে, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিরা আতঙ্কে গাড়ি থেকে নেমে পালায়। গাড়িতে অন্তত একজন অভিভাবকও ছিলেন।
1.15 pm: রাজাবাজার এলাকায় বনধ সমর্থকদের তাণ্ডব, পড়ুয়া সমেত পুল কারে হামলা, আহত একাধিক পড়ুয়া। ডিসি নর্থ দেবাশিস সরকার জানান, ঘটনায় গ্রেফতার ২১ জন।
1.05 pm: একটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বেরোবে বনধের সমর্থনে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় গড়িয়াহাট মোড়ে জনসভা করবেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
1.00 pm: মেদিনীপুরে বাম সমর্থকদের মিছিলের মুখোমুুখি আইআইএনটিইউসি-র মিছিল, দু'পক্ষের হাতাহাতি। সামলাতে হিমশিম পুলিশ।
11.55 am: এখনও পর্যন্ত কলকাতায় গ্রেফতার ৭৫ জন ধর্মঘটি। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করলেন আইএনটিইউসি সমর্থকরা। রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করলে সরিয়ে দিল পুলিশ। তবে ওপরের ছবিগুলি জানান দিচ্ছে, জনজীবন মোটের ওপর স্বাভাবিক ছন্দেই।
11.35 am: বীরভূমের রামপুরহাটে শুরু হলো রেল অবরোধ। দুদিন আগেই এই জেলা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
11.30 am: হাওড়ার ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় বিঘ্নিত হয়েছিল ট্রেন চলাচল। সকাল আটটার পর থেকে ওই শাখায় স্বাভাবিক হয় রেল পরিষেবা। পূর্ব রেলে এখন পর্যন্ত বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি।
শিয়ালদহ শাখায় বসুলডাঙা এলাকায় ট্রেনের ওভারহেড তারে কলাপাতা ছোড়া হয়। সকাল ৯.২৫ নাগাদ তা সরানো হয়। ডায়মন্ড হারবার শাখায় দেউলা মগরাহাটেও কলাপাতা ছোড়া হয়।
অন্যদিকে, বনগাঁ শাখায় হাবড়া-অশোকনগর রোডের মাঝে ডাউন লাইনে একটি লেভেল ক্রসিংয়ের সামনে থেকে একটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
11.20 am: বীরভূমের সিউড়িতে সরকারি বাসে ঢিল মেরে বাসের কাচ ভাঙলো বনধ সমর্থকরা।
11.15 am: পি আর বন্ডে জামিন নিয়ে বনধের দ্বিতীয় দিনে ফের মিছিলে সিপিআইএম-এর জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য্য।
11.00 am: বনধের সমর্থনে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে ডুয়ার্সের বানারহাটে ধর্মঘটিদের মিছিল। অগ্রভাগে ছিলেন সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য ও সিটুর জেলা সম্পাদক জিয়াউল আলম।
10.45 am: মেদিনীপুরে সকাল দশটার পর থেকে কালেক্টরেট গেটের সামনে জমায়েত হন বনধ সমর্থকরা। অফিসে আসা কর্মীদের বনধে শামিল হওয়ার আবেদন জানাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় তৃণমূল একটি মিছিল পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তা আটকে দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল এগোতে চাইলে পুলিশের সাথে তৃণমূল কর্মীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়।
10.30 am: পুরী থেকে লিঙ্ক ট্রেন বাতিল হওয়ার কারণে বাতিল করা হলো হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস।
10.10 am: রাজাবাজারের কাছে কেসি সেন স্ট্রিটে একটি গাড়ির কাচ ভাঙল ধর্মঘটিরা। ডিসি নর্থের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী গ্রেফতার করল কুুড়ি জন বনধ সমর্থককে।
রাজাবাজারের কাছে গ্রেফতার কুড়িজন বনধ সমর্থক। #bharatbandh #workersstrike pic.twitter.com/cyuybb9YpX
— IE Bangla (@ieBangla) January 9, 2019
10.00 am: রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও স্বাভাবিক জনজীবনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেখুন দুর্গাপুর ও জলপাইগুড়ির কিছু চিত্র। উল্লেখ্য, গতকাল জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার হন সিপিআইএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।
9.45 am: ডানলপ মোড়ে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক যান চলাচল, তারই মাঝখানে চট করে ছোট্ট মিছিল সিপিআইএমের।
সকাল নটার দৃশ্য, কলকাতার ডানলপ মোড়ে চটজলদি মিছিল সিপিআইএমের। #iebangla ভিডিও: নিৰ্ণয় ভট্টাচার্য #BharatBandh #WorkersStrike pic.twitter.com/qweZxG6Yho
— IE Bangla (@ieBangla) January 9, 2019
9.25 am: শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখায় ট্রেন চলাচল এখনও ব্যাহত। বাকি শাখাগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই চলছে ট্রেন। হাওড়ায় ব্যান্ডেল- কাটোয়া ছাড়া বাকি শাখায় স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল।
9.20 am: হাওড়ার দাশনগরে বনধ সমর্থকরা একটি স্কুলবাসে ভাঙচুর চালালে দুজন ছাত্র আহত হয় বলে খবর।
9.15 am: গতকালের মতোই ফের একবার যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ডের কাছে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বনধ সমর্থকদের। ফের গ্রেফতার হলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সমেত বেশ কিছু বাম কর্মী।
9.15 am: বারাসাতের কলোনী মোড় থেকে বেরোলো সিটুর মিছিল। মোতায়েন রয়েছেন যথেষ্ট সংখ্যায় পুলিশকর্মী।
9.05 am: গতকাল কলকাতায় শীর্ষ বাম নেতাদের মধ্যে গ্রেফতার হন সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহু, মধুজা সেন রায়, রূপা বাগচী, ও দিবাকর ভট্টাচার্য। শিলিগুড়িতে গ্রেফতার হন অশোক ভট্টাচার্য।
8.45 am: উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাত হেলাবটতলা মোড়ে জমায়েত হচ্ছেন বনধ সমর্থক ও তৃণমূল কর্মীরা। গতকাল বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে দুদলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
8.30 am: ইতিমধ্যেই কলকাতার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে ১০-১২ জন সিপিআইএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।
আজ সকাল সাড়ে সাতটায় কলকাতার ধর্মতলার মোড়। দেশব্যাপী শিল্প ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন। #BharatBandh #WorkersStrike pic.twitter.com/1BHEaNwNx6
— IE Bangla (@ieBangla) January 9, 2019
8.15 am: কিছু জায়গা থেকে ট্রেন চলাচলে বিঘ্নের খবর পাওয়া গিয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার লাইনে বসুলডাঙা ও সাতটা নাগাদ ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় দুমুরডহতে সরানো হয় রেল অবরোধ। নতুন করে অবরোধের খবর পাওয়া গিয়েছে শিয়ালদা-রানাঘাট শাখার শিমুরালি ও ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার ভান্ডারটিকুরি থেকে।
8.00 am: দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে এখনও পর্যন্ত শহর স্বাভাবিক।যানচলাচল অন্যদিনের মতোই।কর্মব্যস্ততার দিকে হাঁটতে শুরু করেছে কলকাতা।
গতকাল শহরের কোথাও কোথাও বাসে ঢিল মারার ঘটনা ঘটে, চেষ্টা হয় অন্যান্য গাড়িও ভাঙচুরের। মোট ১১টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পরিবহন দফতর সূত্রে খবর। সকাল ছটা থেকে নটা পর্যন্ত অবরোধের জেরে বিভিন্ন শাখায় রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়। সড়কপথে বিক্ষিপ্ত অবরোধ হলেও দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।