Advertisment

Bharat Ratna: লোকসভা ভোটের আগেই 'মাস্টারস্ট্রোক' মোদীর, কর্পুরীর পরে আদবানি, সামাজিক ন্যায়বিচার, হিন্দুত্বের বিরাট বার্তা

লোকসভা ভোটের বছরে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুর মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের সিদ্ধান্তের পর লালকৃষ্ণ আদবানিকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মোদী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
advani bharat ratna bjp

লোকসভা ভোটের বছরে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুর মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের সিদ্ধান্তের পর লালকৃষ্ণ আদবানিকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মোদী।

গতকাল বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রের মোদী সরকার। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানিকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মোদী। ৯৬ বছর বয়সী লালকৃষ্ণ আদবানি বর্তমানে বিজেপির মার্গদর্শক মণ্ডলের সদস্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে লালকৃষ্ণ আদবানি জিকে ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হবে। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের সময়ের অন্যতম সম্মানিত রাজনীতিবিদ, ভারতের উন্নয়নে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়'।

Advertisment

লোকসভা ভোটের বছরে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুর মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের সিদ্ধান্তের পর লালকৃষ্ণ আদবানিকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মোদী। ১৯৭০ সালে প্রথম অকংগ্রেসী হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কর্পুরী ঠাকুর। তার আগে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁকে লালু প্রসাদ যাদব , রাম বিলাস পাসোয়ান , দেবেন্দ্র প্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমারের মতো বিশিষ্ট নেতাদের পরামর্শদাতা বলেও বিবেচনা করা হয় । অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের জন্য তিনি আপোষহীন লড়াই চালিয়েছিলেন। আর সেই কারণে তিনি জননায়ক হিসাবে পরিচিত। অনগ্রসর শ্রেণী থেকে উঠে এসে দেশের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।

২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা হিন্দি বলয়ে বিজেপির প্রভাব বিস্তারের এক প্রচেষ্টা এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কার্পুরী ঠাকুরকে ভারতরন্ত প্রদান ঘোষণার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নীতীশের উইকেট তুলে নেয় বিজেপি। বিরোধী জোট এখন কার্যত দিশাহীন। রাজ্যে রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধ স্পষ্ট। পাশাপাশি নীতীশের এনডিএ'র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়া বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, কার্পুরী ঠাকুরের পরে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এলকে আদবানিকে ভারতরত্ন দেওয়ার ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী তৃতীয়বারের মতো কেন্দ্রে সরকার গঠনের সমীকরণ তৈরি করেছেন। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা বলেই একাংশের ধারণা।

দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য আডবাণীকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটারে বলেছেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে লালকৃষ্ণ আদবানিকে ভারতরত্ন দিয়ে সম্মানিত করা হবে। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাকে এই সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের সময়ের অন্যতম সম্মানিত রাজনীতিবিদ, ভারতের উন্নয়নে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা থেকে শুরু করে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করা পর্যন্ত তার জীবন'।

কার্পুরী ঠাকুর এবং আদবানি দুজনকে ভারতরত্ন সম্মানের ঘোষণা বিজেপির রাজনৈতিক বক্তৃতার দুটি স্তম্ভ তুলে ধরে এক সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দুই হিন্দুত্ব৷ পাশাপাশি আদবানিকে ভারতরত্ন প্রদানের মাধ্যমে একটি বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যে দলটি একটি ইউনিটের মতো কাজ করে। সেখানে দলের সিনিয়র নেতাদের আজও স্বীকৃতি দেয় দল।

ভারতরত্ন ঘোষণার পর আদবানির কার্যালয় একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি উভয়কেই তাঁকে এই সম্মান জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে “অত্যন্ত বিনয় এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি ভারতরত্ন গ্রহণ করছি। এটা শুধু একজন ব্যক্তি হিসেবেই আমার জন্য সম্মানের নয়, বরং সেই আদর্শ ও নীতির জন্যও যেগুলো আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সারা জীবন সেবা করার চেষ্টা করেছি,”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লালকৃষ্ণ আদবানিকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপির লক্ষাধিক কর্মীকে নতুন উদ্যম ও শক্তি দেবে। গত কয়েক বছর ধরে, দলে আদবানির ভূমিকা এবং তাঁর সম্মান নিয়ে কর্মীদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এই পদক্ষেপ কর্মীদের কাছে বার্তা দেবে যে দল সিনিয়র নেতাদের সম্মান করার ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর পাশাপাশি মোদীর এই সিদ্ধান্ত দলে সেই সব সমালোচকদেরও মুখ বন্ধ করাবে করবে যারা আদবানি জি সম্পর্কে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের সমালোচনা করেন।

modi loksabha election 2024
Advertisment